চিকলী ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এটিএন বাংলায় ১৫ আগস্ট রাত ৮.৫০ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘হন্তারক’। “মহামানবের দেশে” গল্প অবলম্বনে নাটকটি রচনা করেছেন সহিদ রাহমান, পরিচালনা করেছেন হাসান রেজাউল। অভিনয়ে আহমেদ রুবেল, মাসুম বাশার, সুষমা সরকার, রাশেদ মামুন অপু ও হিন্দোল রায় প্রমূখ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত যতগুলো কালো অধ্যায় আছে, ১৫ আগষ্ট সবথেকে বরর্বচিত কালো অধ্যায়। যে অধ্যায় বহুদিন পর্যন্ত ছিলো অমিমাংসিত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পরিবার হত্যার সে কালো অধ্যায় বহুদিন পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হয়েছে বাঙালি জাতিকে। আজ জাতির কাঁধ থেকে
সে কালো অধ্যায় নামানোর সুযোগ আসছে। আজ রাতেই হতে পারে ঘাতক শাহারিয়ার সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাঁচখুনির ফাঁসির রায় কার্যকর। সে আবেগ উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র বাঙালি জাতির মধ্যে।
নবমিতা একটা অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক। সে গভীর অপেক্ষায় আছে, ফাঁসির রায় কার্যকর হলে তার পত্রিকায় লিড নিউজ করবে, প্রকাশক মুস্তফা টেলিভিশন থেকে চোঁখ সরাতে চাইছে না, তীব্র স্বস্তির অপেক্ষায়, পঁচাত্তরের কবি শুভাশিষ যেন বেঁচেই ছিল এইদিনের অপেক্ষায়। কবি শুভাশিষকে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়ে কবিতা লেখার দায়ে সাত বছর আটকে রাখা হয়, দেওয়া হয় জীবন নাশের হুমকি। এভাবেই দেশের প্রতিটি পরতে পরতে আজ সে আক্ষেপ ও কলঙ্কমুক্তির প্রতীক্ষা।
এই সব কিছুর পরও তীব্র এক আত্মদন্দে ভুগতে থাকে নিম্মি, পঁচাত্তরের ঘাতক শাহারিয়ারের স্ত্রী। নিম্মি সে হত্যাকান্ডের পরোক্ষ সাক্ষী। সেদিন শাহারিয়ার যে বঙ্গবন্ধু পরিবার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তা নিম্মি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলো। আর সে হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারেনি নিম্মি। যেকারণে তারপর থেকেই নিম্মি ও শাহারিয়ার দাম্পত্য জীবন হয়ে ওঠে বিষাদময়। শাহারিয়ারের দাবি ছিল তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানে পরিণত করেছেন নিজেদের, কিন্তু নিম্মি সেটা কখোনই মানেনি।
নিম্মি জানতো আজ হোক কাল হোক এই অপরাধের জন্য শাস্তি তাদের পেতেই হবে। আর হয়েছেও তাই। অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে শাহারিয়ারকে একদিন নিম্মির সামনে থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। বিচার প্রক্রিয়া পেরিয়ে আজ সেই দিন আসছে।
জাতিগত আবেগ উৎকন্ঠার সাথে একাত্মতা রেখে বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাঁচ হত্যাকারীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। শুভাষিস, মুস্তফার চোঁখ বয়ে জল গড়িয়ে যায়। বাঙালি জাতির খুশির সাথে নিম্মির চোখে জল আসে, তবে সেটা স্বামী হারনোর নয়, এতোদিনের বয়ে বেড়ানো কলঙ্কমুক্তির আনন্দে।