চিকলী নিউজ : নীলফামারীতে দরিদ্র মানুষদের এক কেজি আটার বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি সংগ্রহ করছে একটি প্রতারক দল। সংগৃহিত সেই কার্ড দিয়ে একটি লিংকে প্রবেশ করে জুয়ার বিভিন্ন সাইটের একাউন্ট তৈরি করছে চক্রটি। পরে ওইসব একাউন্ট অনলাইন জুয়াড়িদের কাছে বিক্রি করে প্রতারক চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
আইডি কার্ড নিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন জুয়ার সাইট পরিচালনা করার দায়ে পুলিশ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে নীলফামারী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা নীলফামারীর সদরে জনকল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলে জানান পুলিশ।
এরা হলেন নীলফমারী সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আরাজি রামকলা গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে মিজানুর রহমান মান্নু (২৪), ভবেশ রায়ের ছেলে রাগর রায় (২২) ও জিয়ারুল রহমানের ছেলে জাকির (১৯) এবং গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের মধ্যপাড়া গ্রামের মজিদুল ইসলামের ছেলে শয়ন মিয়া (২৫)।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জনকল্যাণ সেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন আওতায় মাসব্যাপী জনসেবার কথা বলে মানুষের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি সংগ্রহ করে। এর বিনিময়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এক কেজি আটার প্যাকেট। এ আইডি কার্ড দিয়ে একটি লিংকে প্রবেশ করে জুয়ার বিভিন্ন সাইটের একাউন্ট তৈরি করে চক্রটি। পরে একাউন্টগুলো অনলাইন জুয়াড়িদের কাছে বিক্রি করে তারা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তারা। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ও ল্যাপটব জব্দ করা হয়। মূলতঃ এ সাইটগুলো খুলে গ্রাহককে লোভ দেখিয়ে জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়। এ কাজে বিভিন্ন ব্যাংকের কারেন্সি ব্যবহার করেন চক্রটি। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
নীলফামারী পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, মানুষের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য প্রচার, প্রকাশ ও হস্তান্তরের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ব্যক্তিগত তথ্য হস্তান্তরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটতে পারে। তাই প্রলোভনে পড়ে গোপনীয় তথ্য অন্য কারো কাছে হস্তান্তর না করার জন্য সচেতন হতে হবে।