মোঃ দেলোয়ার হোসনে (ডিমলা প্রতিনিধি) : ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ভারতীয় কয়েকটি খালি মালবাহী ওয়াগান নিয়ে বাংলাদেশের একটি পাওয়ার ইঞ্জিন ভারতের হলদিবাড়ী রেলস্টেশনের অভিমুখে প্রথম যাত্রা করেছিল। সেই থেকে অদ্যবধি ভারত ও বাংলাদেশের কোন রেলবাহী যাত্রা শুরু করা হয়নি। দীর্ঘ ৭ মাস পর বৃহস্পতিবার সকাল ১১.১৫ মিনিটে ভারতীয় হলদিবাড়ি রেলস্টেশন থেকে ২টি পাওয়ার ইঞ্জিন ৪০৪০৩/৪০৪০৪ ডাবলু ডিপিফরডি ১২ জন রেল কর্মকর্তাদের নিয়ে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে ট্রাইলের জন্য রহনা দেয় এবং ১২.৩৫ মিনিটে চিলাহাটি রেলস্টেশনে এসে পৌছায়। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় চিলাহাটি রেলস্টেশনের স্টেশন মাষ্টার আশরাফুল ইসলাম, পি ডাবলু সুলতান মৃর্ধা, ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান, চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম, চিলাহাটি বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার খোদাবকস, সিআই পার্বতীপুর রফিকুল ইসলাম, সৈয়দপুর জিআরপি থানার এসআই শাহাজাহান, চিলাহাটি আরএনবি ইউনিটের হাবিলদার সেলিম হোসেন। ট্রাইলে আসা ভারতীয় রেল কর্মকর্তা এসআর গুডস্ গার্ড নির্মল গোরামি, নরদ পোদ্দার, বিনোদ কুমার, মুকেশ কুমার সিং, এলপি বিবেকানন্দ চৌধুরী, মনোজিৎ পাল চৌধুরী, রাবিশ পাটেল, রাকেশ কুমার, এএলপি অরিজিৎ রায়, ঋতু রাজ, অর্ক দাস ও গৌরভ কুমার তাদের প্রথমেই চিলাহাটি রেলস্টেশনের ওয়েটিং রুমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর ভারতীয় রেল কর্মকর্তাদের নিয়ে চিলাহাটি রেলস্টেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন। এ সময় ভারতীয় এলপি বিবেকানন্দ চৌধুরী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামি আগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকে এই পথ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ভারতীয় মালবাহী ওয়াগান যাতায়াত করবে। সেই কারনেই আজকের এই ট্রাইল। চিলাহাটি রেলস্টেশনের রেলের কাজ দেখে আগামিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও জোরদার হবে বলে জানান। পরিশেষে চা চক্রের মধ্যদিয়েই দুই দেশের আলোচনার সমাপ্তি করে এমিগ্রেশন ও পাসপোর্টের কাজ শেষে দুপুর ১.৫৫ মিনিটে ভারতীয় পাওয়ার ইঞ্জিনে চড়ে হলদিবাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যান।
ট্রাইলে ভারতীয় ২টি পাওয়ার ইঞ্জিন চিলাহাটি রেলস্টেশনে
