21.2 C
Saidpur

সত্য প্রকাশে সাহসী

রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

একটি ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই ইউনিয়নের ১৫ হাজার মানুষ

চিকলী নিউজ : নীলফামারীর সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের চিকলি নদীর ওপর একটি ব্রিজের অভাবে দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ব্রিজ নির্মাণের জন্য বহু আবেদন-নিবেদন করেছেন এলাকাবাসীসহ জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু এখনও ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। অবশেষে এলাকাবাসী নিজেরা চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছেন সেখানে।

এলাকাবাসী জানান, ভোট আসলে জনপ্রতিনিধিরা এই নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট শেষ হলে তাদের আর খবর থাকে না। বিশেষ করে বর্ষাকালে কামারপুকুর ও কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের এই বাঁশের সাঁকো পার হতে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর।

এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান সবাই ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কেন এখানে ব্রিজ নির্মাণ হয় না সেটি বুঝতে পারছেন এলাকার শুকারু মামুদ (৪৫)।

সরজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের পশ্চিম অসুরখাই, পূর্ব অসুরখাই ও দক্ষিণ অসুরখাই এলাকায় অবস্থিত কাছারি ঘাট। এই ঘাট থেকে সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় ১৮-২০ হাজার মানুষ। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫১ বছরে একাধিক সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ একাধিক দপ্তরে আবেদন করেও প্রতিকার পাননি এলাকার মানুষ। এর ফলে বাধ্য হয়েই মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ওই এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন।

এলাকাবাসী আরও জানান, কামারপুকুর ইউনিয়ন ও কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের প্রায় ১৫-২০ হাজার মানুষ প্রতিদিন এই নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। নড়বড়ে এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি শেষ নেই। অনেকে পা পিছলে নদীতে পড়ার ঘটনাও ঘটে।

কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, চিকলি নদীর ব্রিজটি খুবই জরুরি। এই ইউনিয়নের প্রতিটি চেয়ারম্যান তাদের আমলে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও ব্রিজ না হওয়ায় এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এমপি একটু সহায় হলে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলী এম এম আলী রেজা রাজু জানান, চিকলি নদীর ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের জন্য অনেক আগেই প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদিত হলে কাজ শুরু হবে।

- Advertisement -spot_img

আরও খবর

আপনার মন্তব্য:

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

- Advertisement -spot_img

সদ্যপ্রাপ্ত

জাতীয়