রোকনুজ্জামান সাদ্দাম (নীলফামারী) : উজানের গজলডোবা হতে পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩৪মিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫মিটার) বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্ট ভেঙ্গে বসতবাড়ি রাস্তা-ঘাট এবং আবাদি জমি পানিতে প্লাবিত হয়েছে ।বুধবার রাত থেকে পানি বাড়তে থাকে, পানি বাঁড়ার কারনে তিস্তা পারের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে বিরম্মনা । ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, গত কাল রাতে গজলডোবার ভারতীয় পয়েন্টের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ার কারণে সল্প সময়ের মধ্যে তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এর কারণে তিস্তা ব্যারেজের সবকয়টি গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে পানি নিম্ন অঞ্চলে দ্রুত ঢুকে পড়ে। সকাল ৯টা পর্যন্ত পানি অপরিবর্তিত থাকে। সকাল ৯টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২দশমিক ৩৪ মিটার। যা বিপৎসীমার মাত্র ১৯ সেন্টিমিটার উপরে।
তিস্তা নদীপাড়ের মানুষজন জানায়, ভারতের পানি ছেড়ে দেওয়ার কারনে প্রতিবছর তিস্তা নদীর বাম ও ডান তীর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়। পানিতে ডুবে যায় নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট আবাদ-কৃত ফসলের ক্ষেত। এতে আমরা তিস্তা পাড়ের মানুষ দূর্ভোগ পোহাই।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) তিস্তা ব্যারেজ পওর ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, ভারত থেকে গজলডোবা দিয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় কারনে আমাদের বাঁধ গুলো ভেঙ্গে যায়, এতে তিস্তা পাড়ের মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হয়।
পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সবকয়টি জলকপাট ।
তিস্তার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
