চিকলী নিউজ : অসুস্থ্য পিতাকে ফুসলিয়ে হেবা দলিলে লিখে নেয়া হয় ৬ ভাই-বোনের একমাত্র বসতভিটা । এরপর বেদখলের জন্য সেখানে বসতঘরের রাস্তার পাশের্^ একটি কক্ষে নির্মাণ করা হয় মসজিদ। তবে কোন কৌশলই টিকলনা প্রতিপক্ষের। অবশেষে মহামান্য আদালতের রায়ে বসতভিটা ফিরে পেলেন ভুমিহীন ওই ৬ ভাইবোন। ঘটনাটি ঘটেছে সৈয়দপুর শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের পানির ট্যাংকি এলাকায়।
জানা যায়, ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ হাসিম উদ্দিন। তার ৫ ছেলে ও ৩ মেয়ে। সন্তানদের মধ্যে নওশের হাসমি ২০০৬ সালে অসুস্থ পিতাকে ফুসলিয়ে গাওসিয়া ইসলামি ফাউন্ডেশনের নামে বসতভিটার ১৯ শতক জমি হেবা দলিল দলিল করে দেন। বসতভিটাটি দখলে নিতে গাওসিয়া ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বসতভিটার একটি কক্ষে মসজিদ নির্মাণ করেন। এতে হাসিম উদ্দিনে অন্যন্য সন্তানগন মোঃ জমশেদ হাসমি, পারভেজ আলম, জাবেদ আলম, সানি বেগম, হুসনা বানু ও পারভিন বানু নামের উপায় না পেয়ে ন্যায় বিচারের জন্য মহামান্য নীলফামারী সিনিয়র সহকারি জজ আদালতের দারস্থ হন। ২০০৯ সালে দায়েরকৃত ৪১ নম্বর ওই মামলা দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চলে। সাক্ষীসহ সকল দলিল ও অন্যন্য কাগজপত্রের চুলচেরা বিশ্লেষনে মহামান্য আদালত দানপত্র দলিলকে বে-আইনি, তঞ্চকি, যোগসাজসী, ভুয়া, জ্বাল অকার্যকর ঘোষনা করেন।
মহামান্য আদালতের রায় অনুযায়ী গত (০৭ জুন ২০২২) বেদখলকারীদের কাছ থেকে বসতভিটার হাফ শতক জায়গা উদ্ধার করতে গেলে ধর্মীয় অবমাননার ভুয়া গুজব রটিয়ে সহিংসতা বাধানোর চেষ্টা করা হয়। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে কোন প্রকার উদ্ভদ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে নিষেধ করেন।
সৈয়দপুরে আদালতের রায়ে বসতভিটা ফিরে পেলেন ভুমিহীন ৬ পরিবার
