চিকলী নিউজ : নীলফামারীর সৈয়দপুরে আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর ওয়েলফেয়ার মার্কেটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল গফুর ও সাধারন সম্পাদক জনাব মোকলেছুর রহমান হেলাল সহ উক্ত মার্কেটের ব্যবসায়ীরা গত ২৫শে মে সকাল ১১টায় মাকেটের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি তার বক্তব্যে বিমান বন্দর ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষের চাঁদাবাজীর বিষয়ে বর্ণনা দেন। তিনি দুইটি দোকানের মালিক সভাপতি আরো বলেন মার্কেটটি যদি অবৈধ হয়ে তাকে তাহলে পূর্বের ম্যানেজাররা কিভাবে এই মার্কেটের ভাড়া ও বরাদ্দ দিয়েছেন? দীর্ঘদিন ধরে পূর্বের দুই তিনজন বিমানবন্দর ম্যানেজার এই মার্কেটের ভাড়া আদায় করেছেন কিন্তু এই ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ আসার পর থেকেই শুরু হয় আমাদের উপর চাঁদাবাজীর নির্যাতন। দোকান প্রতি তিনি ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করছেন।
আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গত ১ বছর থেকে বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধ করে দেয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিমান বন্দরের ভাড়া গাড়ীর ড্রাইভাররা উত্তেজিত হয়ে এই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ¯েøাগান দিতে থাকেন। তারা বলেন এই ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ এখন বিমানবন্দরের প্রতিটি গাড়ি থেকে চাঁদা দাবী করে আসছেন। পাশাপাশি বিমান বন্দরের অস্থায়ী নামাজ ঘর ও ওযু খানার জায়গাটিও ভেঙ্গে দিয়েছেন। ড্রাইভার বলেন আমরা এই মার্কেটে যাত্রী ও দর্শনার্থীরা চা নাস্তা করলেও সেটিও বর্তমানে এই ম্যানেজারের কারণে ব্যহত হচ্ছে। সাধারন সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেন আমাদের বারবার দোকান ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হচ্ছে, আমরা গত ১ বছর যাবৎ এখানে কোন ব্যবসা করতে পারছি না আমাদের প্রচুর বাকী বকেয়া পড়ে আছে এই সমস্ত তোলার জন্য আমাদের সময় দিতে হবে।
আমাদের বিদ্যুৎসহ পানির সংযোগ দিয়ে মার্কেটে ব্যবসার করার পরিবেশ ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের সময় দিলে আমরা এই মার্কেট ছেড়ে চলে যাব। পাশাপশি তিনি আরো বলেন তিনি একজন বিমানবন্দরের ঠিকাদার এই সুবাদে তিনি বিমানবন্দর ম্যানেজারের একাধিক দূর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরেন। এই ব্যাপারে একাধিক গোপন সূত্রে জানা যায় বাবু সুপ্লব কুমার ঘোষ নাকি খুবই ক্ষমতাশালী ব্যাক্তি, বিমান অবতরনের সময় বিমানবন্দরে গাড়ি চালানো মালি সুইপার দিয়ে ভিআইপি সেবা দেওয়াসহ চাঁদাবাজী ভিআইপি রেষ্ট হাউজ ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত। এই অভিযোগে তিনি ইতিপূর্বে একবার বদলী হলেও ক্ষমতার অব্যবহার করে টিকে গেছেন।
বিষয়টি জানার জন্য বিমানবন্দর ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষের মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।