26.3 C
Saidpur

সত্য প্রকাশে সাহসী

রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

অন্তু রায়ের মৃত্যু নিয়ে যা বলছে কুয়েট 

চিকলী ডেস্ক নিউজ : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাললের (কুয়েট) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে কুয়েট কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাতে কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত কয়েক দিনে জাতীয় দৈনিক, অনলাইন ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ‘আত্মহত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায়’ প্রকাশিত ওই সব সংবাদে বলা হয়েছে- ‘২০১৮ সালে কুয়েটে ভর্তির পর থেকে থাকা-খাওয়ার জন্য রশীদ হলে ১৮ হাজারের বেশি টাকা বকেয়া পড়ায় অন্তু নন বোর্ডার হয়ে যান। তাছাড়া তিনি সেন্ট্রাল ভাইভাও দিতে পারেননি।’ 

কয়েকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই সংবাদে আরও বলা হয়-‘সামান্য টাকার জন্য কেন অন্তুদের হলে নাম কাটা যাবে, কেন ভাইভা দিতে পারবে না। কুয়েট কেন খোঁজ নিল না।’

সংবাদপত্রে প্রকাশিত এসব তথ্য মিথ্যা বলে দাবি কুয়েট কর্তৃপক্ষের। তারা বলছেন- এতে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম. এ. রশীদ হলে অন্তু রায়ের ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত হল ভর্তি ও সিট বরাদ্দ বাবদ বকেয়া ছিল ৬ হাজার ৬৫৫ টাকা। অন্তু কখনো হলের ডাইনিং ব্যবহার করেনি। ফলে তার খাওয়া বাবদ কোনো বকেয়া নেই এবং এজন্য তাকে ‘নন বোর্ডার’ করার কোনো বিষয় নেই। হলের পক্ষ থেকেও টাকা পরিশোধের জন্য তাকে কোনোভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। বরং তার পারিবারিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে হলে থাকার ব্যবস্থাও করেছিল।

এছাড়া হলের বকেয়া টাকার সঙ্গে সেন্ট্রাল ভাইভার কোনো সম্পর্ক নেই। অন্তু রায় দ্বিতীয় বর্ষের সকল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেন্ট্রাল ভাইভাতে অংশ নেননি এবং এর কোনো কারণও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। মূলত একটি পক্ষ মিথ্যা তথ্য প্রচার করে কৌশলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।

এদিকে অন্তু রায়ের দুঃখজনক মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কুয়েট উপাচার্যের নির্দেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আব্দুল হাসিব, সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. ইসমাইল সাইফুল্লাহ তার বাড়িতে ছুটে যান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন। একই সঙ্গে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ারও ব্যবস্থা করেন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে এ ধরনের বিভ্রান্তকর বক্তব্য থেকে সকলকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।

- Advertisement -spot_img

আরও খবর

আপনার মন্তব্য:

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

- Advertisement -spot_img

সদ্যপ্রাপ্ত

জাতীয়