
নীলফামারীর সৈয়দপুরে তিনদিন ব্যাপী লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য ও প্রযুক্তি মেলা আজ শেষ হবে। গত রোববার স্থানীয় রেলওয়ে পুলিশ ক্লাব প্রাঙ্গণে এই মেলা শুরু হয়। এবার তৃতীয়বারের মতো এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাক্ট বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় স্থান পেয়েছে ঘাস কাটা মেশিন, চানাচুর তৈরির মেশিন, বোতল কর্ক সিলিং, জুস বানানোর মেশিন, নাড়ু বানানোর ডায়েস, সেমাই মেশিন, হাওয়াই মিঠাই বানানোর মেশিন, ময়দার খামির করার মেশিন, উড টার্নিং মেশিন, দাঁত পিনিয়াম, পুলি ও ফ্রাঞ্চ, ভাটার চুলা, বিয়ারিং ব্লক, স্কয়ার ব্লক, পপকর্ন মেশিন, নুডলস মেশিন, ভুট্টা সাইনিং মেশিন, সিট কাটা মেশিন, অফসেট রাবার রোলার, প্লাইউড রাবার রোলার, মিনি স’মিল, জুট মিল, রাইস মিল ও ময়দার মিলের নতুর রোলারসহ নানা ধরনের ক্রোকারিজ পণ্য।
মেলায় সৈয়দপুরের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরীকৃত এই সব মেশিনারিজ পণ্য তথা বিভিন্ন প্রযুক্তি শিল্প যন্ত্র নিয়ে অংশগ্রহণ করছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মেসার্স আব্দুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, আমেনা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, নাঈম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, ঈসা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, টু স্টার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, নিউ মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, এসএমএল মেটাল, জাহাঙ্গীর ইঞ্জিনিয়ারিং, ঢাকা ফাউন্ড্রি, রাজু ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, রেড স্টার, মেসার্স মঈন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মেসার্স শামসুদ্দিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, রাজা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস ও স্টার টেকনিক্যাল ওয়ার্কস।
মেলার উদ্বোধক ছিলেন, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম হুসাইন, জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি প্রকৌশলী এসএম সফিকুল আলম ডাব্লু।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির (বাইশিমাস) কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক ও সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখার সভাপতি পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু।
বাইশিমাস সৈয়দপুর সভাপতি এরশাদ হোসেন পাপ্পু বলেন, এক সময় ঢাকার জিঞ্জিরার পরই ছিল সৈয়দপুরের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের অবস্থান। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতা ও সরকারী সহযোগীতার অভাব এবং ব্যাংকগুলোর বিমাতাসূলভ আচরণের কারণে এই ক্ষেত্রটি ঐতিহ্য হারিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছিল। বর্তমানে আমাদের হাঁটি হাঁটি পা পা করে এ প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখছে। এক সময় যেসব পণ্য বিদেশ থেকে বেশি দামে এনে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করতে হতো, তা এখন অর্ধেকেরও কমমূল্যে আমরাই সরবরাহ করছি। এতে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের উৎপাদিত পন্য টেকসই হওয়ায় বার বার সংষ্কার বা মেরামতের বাড়তি খরচ থেকেও রেহাই পাচ্ছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।