চিকলী নিউজ : নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবহেলা ও অযন্তে পড়ে আছে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে নির্মিত শহিদ মিনার। আজ রবিবার (১৯ ফেব্রয়ারি) এমন দৃশ্য চোখে পড়ে শহরের হাতীখানা এলাকায় রাজ্জাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নির্মিত শহিদ মিনারের। মিনারের পাশে রয়েছে পৌরসভার ডাস্টবিন। ওই ডাস্টবিনে স্থানীয়রা ময়লা আবর্জনা ফেলে। এটি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করতে দেখা দিয়েছে পৌর কর্র্তৃপক্ষের উদাসিনতা। এতে শহিদ মিনার চত্বরে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। শহিদ মিনারটি নির্মাণের পর থেকেই অবহেলা আর অযন্তে পড়ে রয়েছে এমটি জানিয়েছেন ওই এলাকার যুবলীগ নেতা লিটন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শহিদ মিনারটির পাশের ডাস্টবিনে উপচে পড়ছে ময়লা। আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পুরো শহীদ মিনার চত্বর। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি শহীদ মিনার নাকি ময়লার ভাগার। ময়লার গন্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়রা নাক চেপে ধরে চলাচল করছে।

জানা যায়, ভাষা শহীদদের স্মরণে সৈয়দপুর উপজেলায় ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে শহিদমিনার নির্মিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে এ শহিদ মিনারটিও নির্মাণ করা হয়। ওই শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।অবাঙলি অধ্যুষিত এলাকায় শহীদ মিনারটি নির্মাণের শুরু থেকেই বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। এমনটি জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজু।এলাকার শিক্ষার্থীরা জানায়, দূর্গন্ধের কারনে স্কুলে আসতে মন চায় না। এমনকি ক্লাশে বসলে গন্ধ লাগে, বমি বাহির হয়।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম জানান, ডাস্টবিন অপসরণের জন্য সৈয়দপুর শিক্ষাবিভাগ ও পৌরসভায় লিখিতভাবে আবেদন করেছি তার পরেও কোন কাজ হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ওই ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন বলেন, ঘনবসতি স্থান হওয়ায় ডাসবিনটি অপসরণের সমস্যা হচ্ছে। জায়গা না পাওয়ায় একটু সময় লাগছে। তবে এ বিষয়ে মেয়র মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ডাস্টবিন সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।