
চিকলী নিউজ : সৈয়দপুরে সততা নামে একটি ক্ষুদ্র ঋন প্রদানকারি এনজিওর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলায় গ্রাহক হয়রানিসহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা সোমবার (৩১ জানুয়ারী) সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে ওই ্ওনজিও পরিচালনাকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, শহরের পৌর ৬ নং ওযার্ডের মুন্সিপাড়া (কর্ণেল তাহের সড়ক) এলাকার বাসিন্দা গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তফা হাওলাদার উপজেলা সমবায় সমিতি থেকে নিবন্ধন নিয়ে নিজের বাড়িতে সততা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি নামে একটি ক্ষুদ্র ঋনদান প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সেখানে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিকভিত্তিতে নানা কৌশলে সঞ্চয় ও ঋণ প্রদান করা হয়।
শুরু থেকেই গ্রাহকদেও কাছে ভর্তি ফি নামে আড়াই শত টাকা, ঋনের বিপরিতে আমানতের ৩০ ভাগ, সাদা চেক বা ৩ শত টাকা সরকারি ষ্টাম্প, বাধ্যতামুলক মাসিক ডিপিএস ও ঋন বিমার টাকা জমা দিতে হয়। এনজিওটির সকল শর্ত পুরনের পর সময় অনুযায়ী গ্রাহকরা টাকা ফেরৎ দিতে ব্যার্থ হলে তাদের নামে দশগুন টাকা ঋনের অংক চাপিয়ে করা হয় মামলা। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে অনেক ব্যবসায়ি এ টাকা পরিশোধে ব্যার্থ হওয়ায় বিশাল অংকের মিথ্যে ঋনের টাকার মামলার দায়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। মোঃ এস্তাগ আলী, মো: শেখ সাজ্জাদ, আব্দুল খালেক, মো: হাচান আলী, মো: আহাদ, মো: এনামুল কবীর, শাহিনুর, শাহবাজ ও গাজালা নামে ওই এনজিওর গ্রাহকরা এমন অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী এ সকল গ্রাহকরা জানান, দেশের ঋন প্রদানকারী সরকারি কেন্দ্রীয় সংস্থার নিয়ম মানে হয় না। তারা ইচ্ছেমত অসহায় মানুষদের তাদের নীতির বেজালে ফেলে নি:স্ব করছে। আর খপ্পরে পরে প্রায় ২শত নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের শেষ সঞ্চয়টুকু হারিয়েছেন। তিনি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিণত হয়েছেন। অনেক গ্রাহক ঋণ নিয়ে খেলাপি হলে তাঁর কাছে থাকা ওই গ্রাহকের স্বাক্ষরিত সাদা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে ইচ্ছেমত টাকার পরিমান বসিয়ে করেছেন মিথ্যা মামলা। পাশাপাশি এ সমবায় সমিতির আড়ালে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যর নামে রমরমা সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। কোন গ্রাহক ওভার ডিউ বা ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ হলে তার ক্যাডার বাহিনী দ্বারা ভয়-ভীতি দেখিয়ে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত সুদের টাকা।
খন্দকার জুলফিকার আলী জানান, সমিতির শুরুতেই ওই প্রতিষ্ঠানে মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি। এসময় প্রতিষ্ঠানের পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে শর্তসাপেক্ষে ফেরতযোগ্য তিন লাখ টাকা এনজিও মালিক সৈয়দপুর শাখার ঢাকা ব্যাংকের নিজের একাউন্টে জামানত হিসেবে জমা দেই। তবে বিভিন্ন বিভিন্ন অজুহাতে চাকুরিচুত্য করা হয়। পরে বকেয়া বেতন-ভাতাসহ ফেরতযোগ্য জামানতের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। তাই ওই এনজিওর মালিকের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগি সকল সদস্যগণ।
এ নিয়ে এনজিওটির ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, তবে সকল বিষয় পরিচালনা করছেন সততা এনজিও এর মালিক। আমরা কর্মচারি মাত্র। তবে যতটুকু জানি গ্রাহকরা দির্ঘ দিন থেকে পরিশোধ না করা ও মামলা পরিচালনার সুবিধার্থে এমন টাকার অংক দাড়িয়েছে। তবে দ্রুত গ্রাহকদের সাথে আলোচনায় বসে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে।