চিকল নিউজ : নীলফামারীর সৈয়দপুরে হারমো এ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে আনোয়ার আলম (৩৮) নামে এক প্রতারক। তার ওই প্রতারণার কাজে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করতো ছোট ভাই এহসান আলম (৩০)। উভয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে পৃথক দুই ব্যক্তি। গা
অভিযোগে জানা যায়,শহরের নতুন বাবুপাড়া ১১ ওয়ার্ড নং তিলখাজা রোড ওই এলাকার মৃত রহমান সুপারীওয়ালার দুই ছেলে আনোয়ার আলম ও এহসান আলম এলাকার সহজ সরল বেশ কয়েকজন ছেলেকে ভুলে ভালে লোভ দেখায় তার দেয়া হারমো এ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুললে টাকা ইনকাম করা যায়। তাদের প্রতারণার এ ফাঁদে পড়ে শহরের অফিসার্স কলোনীর হাসমত আলীর ছেলে জামিলসহ তার পরিবারের ৭ জন সদস্য। প্রতারক দুই ভাই তাদের ওই এ্যাপ দিয়ে জামিলের একটি ও তার পরিবারের সাতটি অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়। বিনিময়ে তার কাছ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়। এরপর বলে কাজ করলে ১৬ দিনের মধ্যে আপনাদের একাউন্টে ডলার রিচার্জ করে পুরো টাকা পাবেন। এরপর যা পাবেন তা আপনাদের বাড়তি আয়। পরে মোবাইলের এ্যাপের ভিতরে কী যেন সেটিং করে দেবে এরপর ওই মোবাইলের মাধ্যমে ডলার এসে জমা হবে। ১৬ দিন পার হয়ে গেলে কোন প্রকার টাকা বা ডলার মোবাইলে না আসায় জামিল তাদের কাছে গিয়ে ঘটনাটি বলে। এ সময় তাদের কথাবার্তায় সে বুঝতে পারে এরা প্রতারক। তখন আমি তাদের কাছে টাকা ফেরত চাই। তারা আমাকে টাকা দেবে বলে কয়েকদিন সময় নেয়। তারপর থেকে ওই দুই প্রতারক তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে এবং বাসা থেকে অনেকটা গোপন কোথাও অবস্থান করে।
এ বিষয়ে প্রতারণার শিকার জামিল বলেন,তাদের ফাঁদে পড়ে আমি বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে গেছি। কোন উপায় না পেয়ে ১১ জানুয়ারি আমি তাদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় এজাহার দায়ের করি। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে প্রতারক ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিঠুন হোসেন নামে আরও একজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনিও ওই দুই ভাই দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তারসহ পরিবারের কাছ থেকে একইভাবে এ্যাপের কথা বলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন আরও অনেকে। তারা হলেন হাওয়ালদার পাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে নাসিম। তার কাছ থেকে নেয়া হয় ৩০ হাজার টাকা, একই এলাকার শোয়েবের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা,কাজীরহাট এলাকার খুরশীদ আলমের ছেলে সাকিলের ৪০ হাজার টাকা, একই এলাকাা নাসিমের ছেলে ইকবালের ৪০ হাজার টাকা,মুন্সিপাড়ার মান্নানের ছেলে আজাদের ৩০ হাজার টাকা,হাওয়ালদার পাড়ার আইনুল হকের ছেলে এনামের ৩০ হাজার টাকা,অফিসার্স কলোনীর ফজলুর রহমানের ছেলে আরিফের ৪০ হাজার টাকা,একই এলাকার মিন্টুর ছেলে পাপ্পুর ৩০ হাজার টাকা,মুন্সিপাড়ার আব্বাস আলীর ছেলে দেলোয়ারের ৩০ হাজার টাকা ও তার বোন নাজনির ৩০ হাজার টাকাসহ আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের কাছ থেকে এ ধরনের টাকার অঙ্ক হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেয়।
এলাকার সচেতন লোকজন বলেন একটা চক্র এর সাথে জড়িত। তারা সহজ সরল যুবকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে।