চিকলী নিউজ : হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের স্ত্রী জায়েদা বেগম (৩৬) গত রোববার প্রসব বেদনা নিয়ে দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সোমবার সকাল পৌনে নয়টায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেন। স্বাভাবিক প্রসবের পর প্রসূতির আত্মীয়-স্বজন চলে গেলে প্রসূতি ও নবজাতকের সেবার জন্য থেকে যান প্রসূতির ছোট বোন হাজেরা বেগম। দুপুরের দিকে জায়েদার বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হলে চাদর পরে থাকা এক নারীর হাতে শিশুটিকে দিয়ে প্রসূতিকে বাথরুমে নিয়ে যান হাজেরা খাতুন। পরে তাঁরা বাথরুম থেকে ফিরে দেখেন ওই নারীও নেই নবজাতকও নেই।
পরে ওই নারীকে খুঁজতে থাকেন জায়েদা ও হাজেরা। বহু খুঁজে না পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কোতোয়ালি থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্তকাজের জন্য পুলিশ হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
প্রসূতির ছোট বোন হাজেরা বেগম আজকের পত্রিকাকে জানান, আমার বোনের আগের ৩টি মেয়ে বাচ্চা আছে। এ বাচ্চাটি আমার বোনের চতুর্থ মেয়ে। দুপুর ১২টার দিক থেকে ওই নারীর সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। সরল মনেই আমরা তাঁর হাতে শিশুটিকে দিয়ে বাথরুমে যাই। কিন্তু আমরা কখনোই ভাবতে পারিনি যে সে বাচ্চাটি চুরি করে নিয়ে যাবে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. পারভেজ সোহেল রানা জানান, আমরা বিষয়টি জানামাত্রই পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করি। পুলিশ তাৎক্ষণিক হাসপাতালে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। তদন্তের স্বার্থে তাঁরা হাসপাতালের সে সময়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক শামীম হক জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়ামাত্রই আমরা হাসপাতালে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা কিছু ক্লু পেয়েছি। আমরা দু-এক জনকে শনাক্ত করেছি। তদন্ত অব্যাহত আছে। আশা করি আমরা শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধারে সক্ষম হবে।