চিকলী নিউজ : নীলফামারীতে ছয় জঙ্গির নাম উল্লেখ করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেছে র্যাব। রবিবার সকালে র্যাব-১৩ রংপুর এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল কাদের বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিকেলে গ্রেপ্তার ৫ জঙ্গিকে আদালতে ওঠানো হলে বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলায় প্রধান আসামি নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের পুটিহারী এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে রাজমিস্ত্রি শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩৪) পলাতক করেছেন। অন্য পাঁচ আসামি শনিবার জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হন। তারা হলেন- সোনারায় ইউনিয়নের তেলিপাড়া উত্তর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের দুই ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩০) ও অহিদুল ইসলাম(২৮), সংগলশী ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার তছলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে সুজা (২৬), চড়াইখোলা ইউনিয়নের বন্দর চড়াইখোলা গ্রামের অজোউদ্দিনের ছেলে ওয়াহেদ আলী (২৮) ও সোনারায় ভবানীমোড় এলাকার রজব আলীর ছেলে ও তেলিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম নূর আমিন(৩৫)।
র্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়ার পাঁচ জেএমবি সদস্যকে নীলফামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং আরও যারা জড়িত তাদেরও খোঁজা হচ্ছে।
নীলফামারী থানার ওসি আব্দুর রউপ বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করে র্যাব। মামলা নং-০১। এতে অজ্ঞাত আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নীলফামারী সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী জানান, বিকেলে আসামিদের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড প্রদানের আদেশ দেন।
শনিবার সকালে সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া পুটিহারী এলাকায় শরিফুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র এবং গুলিসহ পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।