33.7 C
Saidpur

সত্য প্রকাশে সাহসী

বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুদিনে ৮০ গাড়ি পেঁয়াজ আমদানি, তবুও কমেনি দাম

হিলি প্রতিনিধি : দুদিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হলেও দাম কমার বিষয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি। পাইকারি ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে নতুন পেঁয়াজ এলে দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। 

জানা গেছে, দুদিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৮০ গাড়ি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এসব আমদানিকৃত পেঁয়াজ অধিকাংশ বন্দরে বিক্রি হয়ে গেছে। অবিক্রীত কিছু পেঁয়াজ আমদানিকারকেরা তাঁদের নিজস্ব গোডাউনে নামিয়েছে। সেগুলো তাঁরা গুণ ভেদে ২-৪ টাকা কমবেশি করে বিক্রি করছেন। বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকার কারণে অতিরিক্ত পেঁয়াজ আমদানির পরেও দাম কমার কোনো প্রভাব পড়েনি। অপরদিকে, বন্দরের কার্যক্রম ৬ দিন বন্ধ থাকায় আমদানিকারকদের গোডাউনে যে পরিমাণ পেঁয়াজ রয়েছে তা ব্যবসায়ীরা ধীরেসুস্থে বিক্রি করতে চান। 

পেঁয়াজ সরবরাহকারীরা মনে করছেন পেঁয়াজের অতিরিক্ত চাহিদার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির পরেও দাম না কমায় সামনে আরও সংকট দেখা দিতে পারে। 

ভারতের দুর্গাপূজার কারণে আজ সোমবার থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ৬ দিন বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তাই গত শনিবার ৩৬ গাড়িতে ৯৪০ টন ও রোববার ৪২ গাড়িতে প্রায় ১ হাজার ১০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দুদিনে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বন্দর দিয়ে সে মোতাবেক দাম অনেকটায় কমার কথা ছিল। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের দাম না কমার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ জন্য কয়েক দিন থেকে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হয়ে আছে। 

পেঁয়াজ সরবরাহকারী রাজিব হোসেন বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমদানিকারকেরা বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাই আমাকেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম ও দাম বেশি থাকার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা বাড়ার কারণে আমদানিকারকেরা পেঁয়াজের দাম কমাচ্ছেন না। আগে বন্দর থেকে এক গাড়ি পেঁয়াজ কিনতাম এখন দুই গাড়ি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার পরেও চাহিদা একটুও কমেনি।

হিলি বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা মামুনুর রশিদ বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হলেও অতিরিক্ত চাহিদার কারণে দাম কমছে না। ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে যে গত বছরে মতো যদি এবারও পেঁয়াজের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায়। সে আশঙ্কায় সাধারণ ক্রেতারা তাঁদের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ কিনছেন। সাধারণ ক্রেতাদের বেশি পেঁয়াজ কেনার কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাচ্ছে এবং বেড়ে যাচ্ছে চাহিদা। যার কারণে দাম কমছে না। 

পেঁয়াজ আমদানিকারক তোজাম্মেল হক ও বাবলুর রহমান বলেন, ভারতে বন্যার কারণে সে দেশের পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ফলে সে দেশের পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৩৫ রুপি দাঁড়িয়েছে। মোকামগুলোতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ লোড হতো তার পরিমাণও কমে গেছে। পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় কম আমদানি হওয়ার কারণে দাম কিছুটা হলেও বাড়তির দিকে রয়েছে। 

দুদিনে প্রায় ৮০ গাড়ি পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে তাঁরা জানান, বন্দর বন্ধের কারণে কয়েক দিন থেকে ভারতের অভ্যন্তরে পাইপ লাইনে গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। পেঁয়াজ পচনশীল হওয়াই সেগুলো দ্রুত রপ্তানি করেছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। দুদিনে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হলেও চাহিদার কারণে দাম কমেনি। তবে মহারাষ্ট্রে নতুন পেঁয়াজ ওঠায় সামনের দিনে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। আগামী ২০ অক্টোবর থেকে নতুন পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। 

পানামা পোট কর্তৃপক্ষ জানান, ভারতের দুর্গাপূজার কারণে ৬ দিন বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বন্ধের আগের দুদিন শনিবার ও রোববার বন্দর দিয়ে প্রায় ৮০ গাড়ি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর অধিকাংশ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বন্দরে বিক্রি করেছেন। কিছু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে খালাস করে নিজস্ব আড়তে নিয়ে গেছেন। ভারত থেকে পেঁয়াজ যেভাবে আমদানি হচ্ছে তা দ্রুত বন্দর থেকে খালাস হয় হচ্ছে। 

- Advertisement -spot_img

আরও খবর

আপনার মন্তব্য:

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

- Advertisement -spot_img

সদ্যপ্রাপ্ত

জাতীয়