চিকলী নিউজ : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শুরু হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ক্ষণে ক্ষণে উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর আর ঢাকের বাদ্যি জানান দিচ্ছে ঠাকুরঘরে উদ্ভাসিত মৃন্ময়ী রূপ প্রতিমাবরণ চলছে। সেইসাথে শুরু হয়ে গেছে বাঙালি সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসবের। আজ (১১ অক্টোবর) সোমবার মহাষষ্ঠী। মঙ্গলবার মহাসপ্তমী। পুজা পালনে সনাতন পরিবারে উৎসবের আমেজে বিরাজ করছে।উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন শহর ও গ্রামের মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, ছোট-বড় সব মন্ডপে শোভা পাচ্ছে প্রতিমা। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দলবেঁধে পূজা দেখতে আসছেন। আজ সোমবার বিকেল থেকেই পূজামণ্ডপগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকবে। এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটি। বাহারি পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে রাঙিয়ে উৎসব-আনন্দে মেতে উঠেছে শিশু-কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী। এবার এ উপজেলায় ৮৪ টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎ্সব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে জাতীয় সংসদ সদস্য ৩২৩, মহিলা আসন-২৩ এর এমপি রাবেয়া আলমি, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিকা জাহান, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগের ষভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বাবু সৈয়দপুরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক রাজ কুমার পোদ্দার জানান, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে উৎসবে-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে ভক্তদের প্রতি অনুরোধ করেছে সৈয়দপুর পূজা উদ্যাপন পরিষদ।এবার উপজেলায় পাড়া-মহল্ল¬া মিলিয়ে ৮৪ মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সোমবার ৬ষ্ঠি পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পূজার মুল আনুষ্ঠানিকতা। ১৫ অক্টোবর মহাদশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব। এ বছর দেবী দুর্গা আসবেন ঘোড়ায় করে। আর ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনসহ পূজা মন্ডপ কমিটিগুলো তৎপর রয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার জানান, সৈয়দপুর উপজেলা ৮৪টি পূজা মন্ডপের জন্য ৪১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ মিলেছে। প্রতিটি মন্ডপের জন্য ৫০০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান জানান, এক মাস আগে থেকেই উপজেলা সব মন্ডপ ও মন্দির পুলিশী নজরদারির মধ্যে রয়েছে। মন্ডপগুলোর নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সশরীরে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া নিয়োজিত থাকবে পুলিশের একাধিক টহল দল।