নীলফামারী প্রতিনিধি : `মশিউর রহমান যাদু মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতে গিয়ে মওলানা ভাসানী সাহেবকে বলেছিলেন, পাকিস্তান ভাঙা যাবে না, নতুন রাষ্ট্র করা যাবে না। মওলানা ভাসানী এ কথা শুনে যাদু মিয়াকে ঘাড় ধরে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন। যাদু মিয়া তখন ভারত থেকে পালিয়ে এসে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করেছেন। তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ মাঠে আমি আজ বক্তব্য দিচ্ছি, আমি লজ্জিত! মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধীর নামে প্রতিষ্ঠান থাকবে আর আমার সন্তান সেখানে পড়তে যাবে, এ হয় না।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারীর মশিউর রহমান কলেজ মাঠে নীলফামারী সদর ও সৈয়দপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রশিদ মঞ্জু এই কলেজের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, মহিলা সাংসদ রাবেয়া আলীম, জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কান্তি ভূষণ কুণ্ড, সাবেক উপজেলা কমান্ডার শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতারা অভিযোগ করেন—সৈয়দপুর আওয়ামী যুবলীগে যুদ্ধাপরাধীর সন্তান রয়েছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীর সন্তানরা দলে থাকলে এটা আওয়ামী লীগের জন্য লজ্জাকর বিষয়। তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করবেন বলে নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন।