চিকলী ডেস্ক : তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ সহায়তা বন্ধ করায় অর্থনৈতিক সংকটে আফগানিস্তান। খাবার ছাড়াও অর্থের অভাবে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এতে বাধ্য হয়ে আসবাব থেকে শুরু করে তৈজসপত্র পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই।
তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই আফগানিস্তানের অর্থনীতি অনেকটাই ভঙ্গুর ছিলো। বৈদেশিক সহায়তার ওপরই নির্ভর করতে হয় দেশটির মানুষকে।
তবে ১৫ আগস্ট তালেবান যোদ্ধারা কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর দেশটিতে সহায়তার অর্থপ্রবাহ বন্ধ করে দেয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের প্রায় এক হাজার কোটি ডলার আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একই পদক্ষেপ নেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। শুধু তাই নয়, এখনও দেশটির অনেক ব্যাংক বন্ধ। অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুরোপুরি চালু না হওয়ায় নগদ অর্থের সংকটে পড়েছে তারা।
স্থানীয় এক আফগান নাগরিক জানান, “ব্যাংকে অর্থ থাকলেও, তা তোলা যাচ্ছে না। একদিনে ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি আফগানি তোলা যায়। তবে তা যথেষ্ট নয়। ব্যাংকে আবারও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়েও অর্থ তুলতে পারছে না”।
অর্থের অভাবে অনেককেই বিক্রি করতে হচ্ছেন ঘরের আসবাব থেকে শুরু করে তৈজসপত্র পর্যন্ত। এরইমধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট, উর্ধ্বমুখী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। এমনই এক ব্যক্তি বলেন, “ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় সেখানে ফিরে কোনো লাভ নেই। আমাদের কাছে তেমন অর্থও নেই যে, আমরা তা মেরামত করতে পারবো। কেউ খাবার দিতে এলেও, এখানে এতো মানুষ যে সবার জন্য তা যথেষ্ট না।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, “চাল ও অন্যান্য খাবারের দাম অনেক বেশি। সেকারণে বেচাকেনাও নেই আগের মতো। ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, হয়তো আমাদের ব্যবসাও ভালো হবে”।
আগামী বছরের মাঝামাঝি আফগানিস্তানের ৯৭ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাতে পারে- সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।