চিকলী ডেস্ক : বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে চিনির দাম নতুন করে নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিকেজি খোলা চিনি ৭৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর আগে দেশের বাজারে বছরের বড় অংশ জুড়ে প্রতিকেজি ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে ছিল চিনির দাম। তবে গত আগস্টের শুরু থেকে চিনির দাম বাড়তে থাকে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইআইটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, “চিনির দাম বেড়ে ৮০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। আমরা কেজিতে ৫ টাকা করে দাম কমিয়েছি। এখন থেকে খোলা বাজারে প্রতিকেজি চিনি ৭৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৭৫ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে হবে।
আগস্টের এলসির মূল্য বিবেচনায় নিয়ে নতুন দাম ঠিক করা হয়েছে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, “গড়ে প্রতি টন ৪১৯ ডলার ধরে কাজ করেছি। আজকে বাজারে ঢুকলে দেখা যাবে যে প্রাইসটা প্রায় ৫০০ ডলারের কাছাকাছি চলে গেছে। সেজন্য পূর্বাভাস করা মুশকিল।” এখন থেকে প্রতি মাসে চিনির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান এই অতিরিক্ত সচিব।
এদিন সভায় ভোক্তা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করা হলেও মিল গেট এবং পাইকারি পর্যায়ে দাম নিয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, খুচরা দামের ওপর ভিত্তি করে মিল গেট ও পাইকারি পর্যায়ে দাম আনুপাতিক হারে ঠিক করবেন আমদানিকারকরা। আজ শুক্রবার থেকে দাম কার্যকরের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদারকি করবে। একদিনেই হয়ত নতুন দামে পৌঁছানো যাবে না। তবে নতুন করে বাজারে যেসব চিনি আসবে, সেগুলো নতুন নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হবে।”
বিশ্ববাজারে চিনির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোজ্য তেল ও ডালের দামও বাড়ছে। দেশের বাজারেও এসব পণ্যের দাম বাড়ছে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ডালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ‘হস্তক্ষেপ করা হবে’ জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, “মহামারীর প্রভাবে এখন ফ্রেইটের ভাড়া প্রায় ৩৬০ শতাংশ বেড়েছে। ডালের দামও বেড়েছে। পশ্চিমের যেসব দেশ থেকে আমরা এসব পণ্য সংগ্রহ করি, সেখানে মহামারীর কারনে বাজার অস্থির রয়েছে। এসব বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।”
চিনি বিপণনকারী কোম্পানি সিটি গ্র“প, মেঘনা গ্র“প, দেশবন্ধু গ্র“পসহ অন্যান্য কয়েকটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।