38.3 C
Saidpur

সত্য প্রকাশে সাহসী

রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

মা-ছেলে অপহরণের মামলায় সিআইডির এএসআই ও কনস্টেবল সাময়িক বরখাস্ত

 চিকলী ডেস্ক নিউজ :  দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে মা-ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলায় রংপুর সিআইডি পুলিশের দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলেন এএসআই মো. হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুক। ওই অপহরণ মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হলে ৫ জন গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। এজাহারভুক্ত আরও ৫ আসামি এখনো রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

রংপুর সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) আতাউর রহমান জানিয়েছেন, দিনাজপুরে  মা-ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। এটি ঢাকা থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এখনও আদেশের লিখিত কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। আগামীকাল নাগাদ বরখাস্তের আদেশ পাওয়া যেতে পারে।  

গত মঙ্গলবার বিকেলে মা-ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দিনাজপুর সদর উপজেলার দশমাইল মোড় এলাকা থেকে সিআইডির তিন সদস্য পাঁচজনকে আটক করে দিনাজপুর জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুর আমলী আদালত-৪ এর বিচারক শিশির কুমার বসু তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় এএসপিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী লুৎফর রহমানের ভাই খলিলুর রহমান বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় অপহরণ মামলা করেছেন।মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাসচালক হাবিব, নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার এনামুল হকের ছেলে ফসিহ উল আলম পলাশকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তারা আদালতের নির্দেশে কারাগারে রয়েছেন। আসামি পলাশ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া দুই ভুক্তভোগী ও দুই সাক্ষীর জবানবন্দিও গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, চিরিরবন্দর উপজেলার আন্ধারমুহা গ্রামের মৃত এন্তাজুল হকের ছেলে আরেফিন শাহ, শহরের ৬নং উপশহর খেরপট্টি এলাকার সোহেল, সুইহারী চৌরঙ্গী বাজারের রিয়াদ, ২নং উপশহর এলাকার সুমন ও ৩নং উপশহর এলাকার জাহিদ। এছাড়া অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত অপর ৫ আসামিকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।

চলতি মাসে রংপুর সিআইডির কাছে পলাশ নামের এক ব্যক্তি চিরিরবন্দর উপজেলার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ আগস্ট রাতে লুৎফরের বাড়িতে যান এএসপি সারোয়ার কবিরসহ তিনজন। লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মুক্তিপণ দাবি করেন। তারা পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও সিআইডি মিলে সদরের বাশেরহাট থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।

- Advertisement -spot_img

আরও খবর

আপনার মন্তব্য:

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

- Advertisement -spot_img

সদ্যপ্রাপ্ত

জাতীয়