চিকলী নিউজ : জন সাধারনের চলাচলের রাস্তা বা ফুটপাতের যেখানে সেখানে নির্মাণ সামগ্রী রেখে স্থাপনা নির্মাণ সহ ফেলে রাখলে সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদন্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয় বার সাজা দ্বিগুণ হওয়ার ও গেজেট প্রকাশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়। কিন্তু সৈয়দপুরের মানুষ ঐ গেজেটের ত্বয়াক্কাই করছেন না। এছাড়া স্থানিয় প্রশাসন ও পৌর পরিষদ দেখেও দেখছেন না বলে স্থানিয়দের অভিযোগ।
জানা গেছে পরিবেশ সংরক্ষন বিধিমালা ১৯৯৭ সংশোধন করে সম্প্রতি প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে রাস্তা, ড্রেন, ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মান মেরামত বা সংস্কার কাজ পরিচালিত ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বায়ু দূর্ষন নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। নির্মান কাজ চলছে এমন স্থাপনা ও ঢেকে রাখতে হবে। নির্মান সামগ্রী ইট, বালু, রড, সিমেন্ট ঢেকে রাখার কথা বলা হয়েছে। ব্যবহৃত ট্রাক, ভ্যান বা লড়ির চাকার কাদা মাটি ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে রাস্তায় চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
কোন প্রকার নির্মান সামগ্রী রাস্তা বা ফুটপাতের যেখানে সেখানে ফেলে রাখা যাবে না। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিধান লঙ্ঘন করলে প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। একই অপরাধ দ্বিতীয় বার করলে ২ বছরের কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন বলে বিধিতে বলা হয়েছে। কিন্তু নীলফামারীর সৈয়দপুরের মানুষ এই আইনের কোন ত্বয়াক্কাই করছেন না।
সড়ক সহ ফুট পাতের পাশে নির্মাণ সামগ্রী রেখে ঘরবাড়ি নির্মান সহ ময়লা আবর্জনা ফেলা গাড়ী না ঢেকে শহরের ভেতর দিয়ে চলাচল করছেই। এতে করে নির্মান সামগ্রীর ধুলাবালু ও ময়লা আবর্জনার গন্ধে নানান রোগে আক্রন্ত হচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষ। বিশেষকরে অবৈধ ভাবে রেলওয়ে জমিতে স্থাপনা নির্মান সহ বহুতল ভবন নির্মানে রাস্তার পাশেই নির্মান সামগ্রী ফেলে রাখা হলেও কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না রেল কতৃপক্ষ, স্থানিয় প্রশাসন ও পৌর পরিষদ।
সম্প্রতি এ অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় থেকে প্রকাশিত গেজেট বাস্তবায়নে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান এ অঞ্চলের মানুষ।