চিকলী রিপোর্ট : ইয়া হাসান ইয়া হোসেন ধ্বনিতে মুখরিত সৈয়দপুরের হাতিখানাস্থ কেন্দ্রীয় স্মরনীয় কারবালায়। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আশুরা উৎসব। অনুষ্ঠান সমুহ নিবিঘ্নে শেষ করতে পুলিশ প্রশাসনের জোরদার নিরাপত্তা ও তদারকি ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্মরনীয় কারবালা কমিটির সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার রাতে সৈয়দপুরের ৪৪টি ইমামবাড়ায় বসানো হয় তাজিয়া। তাজিয়া বসানোর বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে গভীর রাত পর্যন্ত চলে নিয়াজ ফাতেহা ও মর্সিয়া পাঠ। ঢোলের তালে তালে ও রং বেরংয়ের বাতি আর নিশানে ছেয়ে যায় ইমামবাড়ার চারপাশ। সন্ধ্যা থেকে অমানবিকতার প্রতিবাদে ইমামবাড়া গুলোতে চলে মান্নত, নিয়াজ ফাতেহা ও নিশান চড়ানো। তবে অপর একটি সূত্র জানান, করোনার কারনে অনুষ্ঠান পালনে কিছুটা কমতি থাকার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি ইমামবাড়াগুলোতে। বিগত বছরগুলোতে ভোর রাত পর্যন্ত চলে ঢোল বাজানোর সাথে লাঠি, আগুন ও ছোরা খেলা। তবে এবারে পুলিশের জোরদার টহলে ও ইমামবাড়ার কমিটির সাথে আলোচনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে তাজিয়া দেখতে আসা ও স্থানীয় দর্শনার্থীদের সামাজিক দুরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা উপেক্ষিত ছিল।
সৈয়দপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত আবুল হাসনাত খান বলেন. ধর্মীয় উৎসব পালনে আমরা সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছিলাম্। ছোরা, লাঠি খেলা বন্ধ করতে ইমামবাড়ার কমিটির লোকজন কথা দিয়ে কথা রেখেছে। তারপরও ধর্মীয় উৎসব নিবিঘ্নে পালনের জন্য গোটা শহরে পুলিশের পাশাপাশি স্মরণীয় কারবালায় র্যাব সদস্য মোতায়েন ছিল।