চিকলী নিউজ : স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোঁড়গড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেই লক্ষ্যে দেশের ১০টি রেলওয়ে হাসপাতালকে নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য সেবায় পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চলের মানুষ অধিকতর স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

বুধবার (৭ মে) বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ড. মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, নীলফামারী জেলায় চীন সরকারের প্রস্তাবিত ১ হাজার শয্যা হাসপাতালের জন্য প্রাথমিকভাবে জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে।
এ হাসপাতাল চালু হলে সৈয়দপুর-নীলফামারী অঞ্চল স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে কোন এলাকায় কি করলে বৃহত্তর জনগণ উপকৃত হবেন, তা বাস্তবায়ন করা। স্বাস্থ্যখাতে যাতে মানুষ ঢাকামুখী না হয়ে নিজ এলাকায় সহজে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহন করতে পারেন।
এদিন বিকেলে যুগ্ম সচিব ড. মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান নীলফামারীর দারোয়ানি টেক্সটাইল মিল এলাকায় প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্থান পরিদর্শন শেষে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতাল আসেন।
এ সময় তাকেঅভ্যর্থনা জানান রেলওয়ের বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার ডা. আনিসুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। পরে তিনি রেলওয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন।
যুগ্ম সচিব বলেন গত মাসে দেশের ১০টি রেলওয়ে হাসপাতালগুলোতে যাতে সাধারণ জনগন চিকিৎসা সেবা পায় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোর অবকাঠামো সংস্কার, এবং মেশিনপত্র স্থাপনসহ জনবল বাড়িয়ে পুরোপুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। চলতি বছরেই এসব বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী। পরে তিনি রেলওয়ে কারখানা ও ওপেন লাইন শাখার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সাথে কথা বলেন।