চিকলী নিউজ : নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিল্ডিং কোড না মেনে নিয়ম ও নকশা বহির্ভূত বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে নোটিশ দিয়েছে সৈয়দপুর পৌরসভা। সৈয়দপুর পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ী এলাকায় নূর মোহাম্মদ রোড, মোছা: রানী বেগম, স্বামী আব্দুল আজিজ কে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নোটিশ দেওয়া হয়।
১৯/৭/২৩ খ্রিস্টাব্দে জারিকৃত নোটিশে বলা হয়েছে পৌরসভার নকশা এবং পৌরনির্মাণ নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পৌরসভা হতে নকশা অনুমোদন করে অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজ করছেন। যা পৌরবিধির পরিপন্থী। বিধায় পত্র প্রাপ্তির সাথে সাথে ইমারতের নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজ সাত (০৭) দিনের মধ্যে অপসারণ করতে বলা হয়।
নোটিশে আরোও উল্লেখ থাকে যে অন্যথায় আপনার অনুমোদিত নকশা বাতিলসহ পৌরবিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পৌরসভা নোটিশ পাওয়ার পরেও তারা জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত চালিয়ে যেতে থাকে। পৌরসভার কোনো তোয়াক্কায় করে না। পরবর্তীতে আনোয়ার আশরাফী পিতামৃত হাজী আজগার আলী ১৭/০৮/২০২৩ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়।নীলফামারী মামলা নম্বর-এমআর- ২১২/ ২০২৩ (সৈয়দপুর)ধারা-১৪৪/১৪৫ ফৌজদারি কার্যবিধি মোতাবেক মামলা করা হয়। তপসিল বর্ণিত নালিশি সম্পত্তির মামলা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য আদালত নির্দেশ প্রদান করিয়াছেন।
বিজ্ঞ আদালতের আদেশ পালনের জন্য উভয় পক্ষই নালিশী বৃত্তে কোন কিছু পরিবর্তন/পরিবর্ধন না করিয়া উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ প্রদান করিলে। বর্তমানে তারা কাজ বন্ধ করিয়াছে। তাদের বাড়ির ওয়াল সংলগ্ন দোতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিলে দেখা যায়। আনোয়ার আশরাফির টিনশেড বাড়ির ওয়াল গুলো ড্যামেজ ও কোথাও কোথাও ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এমতাবস্থায় সৈয়দপুর পৌরসভা মেয়র রাফিকা আখতার জাহানের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন তাদের কে নোটিশ পাঠাবার পরও তারা জোর পূর্বক যে কাজ করেছে এ ব্যাপারে সে সময় জানালে স্থানীয়ভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু তারা সে সময় এ ব্যাপারে জানায় নাই। এ ব্যাপারটি বিজ্ঞ আদালতে আইনের ব্যবস্থা নিয়েছে সেহেতু আদালতে আইনের মাধ্যমেই এটা সমাধান হবে।