রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে দালালবিরোধী বিশেষ অভিযানে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসন ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ অভিযানে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে জেসমিন আক্তার (২৫), নগরীর খটখটিয়া দোলাপাড়ার মোহসীন আলীর মেয়ে জেসমিন বেগম (৩৫), ধাপ হাজীপাড়ার হাসেন আলীর ছেলে আতাউর রহমান আতা (২৮), নীলফামারীর দরবেশপাড়ার মতিয়ার রহমানের মেয়ে রুনা আক্তার (৩৫), মিঠাপুকুরের পশ্চিম বড় বালা এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৬) ও গঙ্গাচড়ার খানাটারির নুর ইসলামের ছেলে শাকির হোসেন।
এঁদের মধ্যে জেসমিন আক্তার ও জেসমিন বেগমকে ১৫ দিনের, শাকির হোসেনকে তিন মাস, আতাউর রহমান আতাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া হাফিজুর রহমানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও রুনা আক্তারের ৫০ হাজার টাকার মুচলেকা বন্ডের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুছ আলী বলেন, হাসপাতালে কোনো দালালের ঠাঁই নেই। সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনেরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখছি।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালক রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আসিফ পেলে বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় এবং চিকিৎসাসেবাকে নির্বিঘ্নে করার জন্য এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। আটকদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান কর হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার রায় বলেন, ইতিপূর্বে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। পুনরায় সেই অভিযান শুরু করা হয়েছে। মানুষ যাতে হাসপাতালে এসে নির্বিঘ্নে সেবা নিতে পারেন আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
এর আগে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজির অভিযোগে বকশিশ সিন্ডিকেটের ১৬ কর্মচারীকে এ হাসপাতাল থেকে বদলি করা হয়।