চিকলী ডেস্ক : টিসিবির কার্ডের নিয়মিত পণ্যগুলোর পাশাপাশি প্রথমবারের মতো যুক্ত হল চাল। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। প্রতি কেজির দাম নেয়া হবে ৩০ টাকা। এত দিন সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, চিনি ও পেঁয়াজ ইত্যাদি পণ্য বিক্রি করলেও চাল বিক্রি করত না টিসিবি। তবে গত জুন মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে চালও বিক্রির ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। টিসিবিকে ভর্তুকি মূল্যের এই চাল সরবরাহ করছে খাদ্য অধিদপ্তর।
শনিবার টিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যের এসব পণ্য বিক্রি ১৬ জুলাই শুরু হয়ে মাসব্যাপী চলবে। টিসিবি জানিয়েছে, রোববার (১৬ জুলাই) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আবদুল্লাহপুর পলওয়েল কনভেনশন শপিং সেন্টারের পেছনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গত জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে মসুর ডালের দাম ১০ টাকা কমেছে। জুন মাসে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ছিল ৭০ টাকা। টিসিবি বলেছে, বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে ডালের দাম কমানো হয়েছে। এ ছাড়া সয়াবিন তেল ও চিনির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডধারী একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। এবারে মসুর ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি।
এ বিক্রয় কার্যক্রম ডিলারদের দোকান বা নির্ধারিত স্থায়ী স্থাপনা থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা ও তাদের নির্ধারিত তারিখ ও সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ২০২২ সালের ২০ মার্চ স্বল্প আয়ের মানুষদের মধ্যে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে টিসিবি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা পাওয়া ৩৮ লাখ ৫০ হাজার সুবিধাভোগীর সবাইকেই দেয়া হয় এই কার্ড। এর সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয় ৬১ লাখ ৫০ হাজার পরিবার। সব মিলিয়ে এক কোটি পরিবার এখন ফ্যামিলি কার্ডের আওতায়।