20.9 C
Saidpur

সত্য প্রকাশে সাহসী

শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

দেশে করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন শনাক্ত

চিকলী নিউজ : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে বাংলাদেশি তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন শনাক্ত হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে বিএ ২.৭৫।

গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক করোনায় আক্রান্ত তিনজনের সংগৃহীত নমুনা থেকে ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে এটি শনাক্ত করেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে যবিপ্রবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যবিপ্রবির গবেষক দলটি জানায়, আক্রান্ত তিনজনই পুরুষ। একজনের বয়স ৫৫ এবং বাকি দুজনের বয়স ৮৫ বছর। একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, অন্যরা বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে।

গবেষক দলটি আরও জানায়, বিএ ২.৭৫ সাব-ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে ওমিক্রনের বিএ ২ ভ্যারিয়েন্টের মতোই মিউটেশন দেখা যায়। ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি জুলাই মাসে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়। গত আগস্টে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়। টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। আগামী দিনে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্যান্য সাব-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।

যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘এর আগে ভারতসহ একাধিক দেশে এই উপধরন শনাক্ত হলেও আমাদের দেশে এটাই প্রথম। এটি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায়, তবে কতটা ক্ষতিকর সেটি এখনো জানা যায়নি। আমরা নিয়মিত গবেষণা করছি। মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করাই আমাদের লক্ষ্য।’

করোনার এই নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট মানুষের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ জন্য মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি জানান, অচিরেই পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা সম্ভব হবে এবং এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণের কাজ জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে। এর আগে ডেলটা ও ওমিক্রন ধরনের স্থানীয় সংক্রমণও শনাক্ত করেন এই গবেষকেরা।

গবেষক দলের অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন—বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, মো. আলী আহসান সেতু।

উৎস: আজকের পত্রিকা

- Advertisement -spot_img

আরও খবর

আপনার মন্তব্য:

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

- Advertisement -spot_img

সদ্যপ্রাপ্ত

জাতীয়