গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের গাছাবাড়ী গ্রামের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্যের পারিবারিক ভাবে গড়ে তোলা ডেলিভারি সেন্টারে যমজ সন্তান প্রসবের সময় মুন্নি খাতুন (৩০) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মুন্নি বেগম উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের স্ত্রী।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় সাঘাটা উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের স্ত্রী মুন্নি বেগমের প্রসব বেদনা উঠে। পরে গাছাবাড়ী গ্রামের মানিকগঞ্জ বাজারের ব্র্যাক সেবিকার পরিচয় দানকারী কচুয়া ইউপির সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আজমিন সুলতানা রিনার সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনি রোগীকে নিজের বাড়িতে অবস্থিত ডেলিভারি সেন্টারে প্রসবের চেষ্টা করেন। পরে সিজারের মাধ্যমে যমজ শিশু দুটি ডেলিভারি করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে মুন্নি বেগম অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। এ ঘটনায় একটি শিশু অসুস্থ হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপের কারণে মুন্নির পরিবার থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সাহস করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। সাঘাটা থানার বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রাকিব হোসেন বলেন, ‘এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।’
এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।