চিকলী ডেস্ক নিউজ : ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয় সেটি সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। ২০১২ সালের নির্বাচিতদের হাতে পুরস্কার উঠেছিল সেবার। এরপর আরেকটি জাতীয় পুরস্কার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সময় লেগে গেল ছয় বছর। তবে এবার টানা ৮ বছরের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ২০১৩-২০২০ সাল পর্যন্ত যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের হাতে উঠবে এই পুরস্কার।
৮ বছরে তালিকায় সাকুল্য পুরস্কার পাচ্ছেন ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে ক্রিকেটার হিসেবে পুরস্কার হাতে তুলবেন ৪ জন। তারা হলেন, দিপু রায় চৌধুরী (২০১৯), কাজী হাবিবুল বাশার সুমন (২০১৬), খালেদ মাহমুদ সুজন (২০১৩) এবং মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু (২০১৩)। এছাড়াও সংগঠক আর কোচ হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন জালাল ইউনুস, এনায়েত হোসেন সিরাজ এবং নাজবুল আবেদীন ফাহিম।
জাতীয় পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়ে আনন্দে ভেসে যাচ্ছেন বাংলাদেশের হয়ে প্রথম টেস্টজয়ী অধিনায়ক হাবিবুল বাশার, ‘আনন্দের এবং আমি মনে করি আমি খুব ভাগ্যবান যে এই সম্মাননাটা পাচ্ছি। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে, সে জায়গা থেকে অনেক সম্মানিত বোধ করছি। যে কোন খেলোয়াড়ের জন্যই এটা সম্মানের।’
কিন্তু প্রাপ্তির মধ্যে আক্ষেপও আছে বাশারের। করোনাভাইরাসের কারণে মনোনীতরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার নিতে পারবেন না, পুরস্কার বিতরণীতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।
বাশার বলছিলেন, ‘একটু তো আফসোস থাকবে, তবে যেহেতু এক সাথে অনেক, ৮ বছর হচ্ছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটু (কষ্টের) আর কোভিড প্রটোকল তো এখনো শেষ হয়নি। বাট আমি পুরস্কারটা পাচ্ছি ভার্চুয়ালি, তবে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান থেকে পাচ্ছি সে জায়গা থেকে ভাগ্যবান।’
জাতীয় বাছাই কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে ২০১৩ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৪ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৫ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৬ সালের জন্য ১৩ জন, ২০১৭ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৮ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৯ সালের জন্য ১১ জন এবং ২০২০ সালের জন্য ৮ জনসহ সর্বমোট ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানের সুপারিশ করা হয়।