হিলি : করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কোনও বাধ্যবাধকতা না থাকায় দর্শনার্থীদের পদচারণায় মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখা।ঈদুল ফিতরকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবার পরিজনদের নিয়ে অনেকেই এসেছেন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে। আবার কেউবা আসছেন ভারতে থাকা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে।
হিলি পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জামান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি। সেই সঙ্গে এখানে রয়েছে দেশের সবচেয়ে নিকটতম সীমান্তবর্তী এলাকা। এছাড়া আছে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হিলি রেলস্টেশন।এসবের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং নিকটতম সীমান্তবর্তী এলাকা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় বরাবরই থাকে। কিন্তু করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধের ফলে গত দুই বছর দর্শনার্থীরা তেমন আসতে পারেননি।তবে এবার করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় ঈদের নামাজের পরপরই সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকা লোকারণ্য হয়ে ওঠে।গণমাধ্যম কর্মী হালিম আল রাজী জানান, দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে হিলি সীমান্তে এসেছেন। তারা সবাই হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখা এবং হিলি রেলস্টশন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। আবার অনেকে ছবি তুলছেন।অবশ্য বিজিবির বাধার কারণে কাছ থেকে কথা বলতে পারছেন না। তবে দীর্ঘদিন পরে ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে দারুণ খুশি তারা। একইভাবে ভারত অংশে অনেকেই ভিড় করছেন বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়- স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে।হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন জানান, ঈদের দিন থেকেই হিলি সীমান্ত, স্থলবন্দর ও রেলস্টেশন দেখতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। যা আরও চার থেকে পাঁচদিন থাকবে। দর্শনার্থীদের জন্য মিনি পার্ক স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।