
চিকলী নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালতে পেরেছি, এটিই সবচেয়ে বড় কথা। কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না, প্রতিটি মানুষের জীবন আলোকিত হবে, এটিই আমাদের লক্ষ্য।
সোমবার দুপুর ১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ১১টা ৫৪ মিনিটে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুর ১টায় বক্তব্য দিতে আসেন তিনি।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করার সময় বিদ্যুতের জন্য মানুষের হাহাকার ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ওয়াদা করেছিলাম, প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত হবে, আজকে সেটি হয়েছে।’
এর আগে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এসময় তাকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর কোল জেটিতে ২০০ নৌকা থেকে পতাকা নাড়িয়ে ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে তাকে অভিবাদন জানানো হয়।
অবতরণের পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর এর নাম ফলক উন্মোচন করেন। সকাল ১১টা ৪৬ মিনিটে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় এক হাজার ৩২০টি পায়রা ওড়ানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেন, বর্তমানে পাকিস্তানের ৭৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় থাকলেও বাংলাদেশের ১০০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন। এ অর্জন প্রধানমন্ত্রীর অর্জন। তার নেতৃত্বেই এটি সম্ভব হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সবার জন্য বিদ্যুৎ, এ ধারণা বঙ্গবন্ধুর। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ। প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন ও দিক-নির্দেশনা ছাড়া এটি সম্ভব হতো না।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পেরেছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। বর্তমানে বিদ্যুতের আওতার বাইরে দেশে কেউ নেই। এটা অনেক বড় সাফল্য।