35.9 C
Saidpur

সত্য প্রকাশে সাহসী

শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

শ্যালিকাকে অপহরণ-হত্যা, দাফনকালে ধরা পড়লেন দুলাভাই

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গোপনে দাফন করার সময় তিন মাস আগে অপহৃত ইতি খাতুনের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের পানিয়ালপুকুর গ্রামে অপহরণকারী দুলাভাই কর্তৃক দাফনের চেষ্টার সময় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে পায় ইতির দুলাভাই সহিদ শাহ ও তার পরিবারের লোকজন।

নিহত ইতি একই উপজেলার কিশোরগঞ্জ ইউনিয়নের মুসা গ্রামের শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। অপহরণকারী দুলাভাই সহিদ শাহ পানিয়ালপুকুর গ্রামের জাকারিয়া শাহর ছেলে। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির মাঠকর্মী হিসেবে জয়পুরহাট জেলায় কর্মরত।

ইতি খাতুনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ে স্মৃতি খাতুনের সঙ্গে সহিদ শাহর বিয়ে হয়। তারা জয়পুরহাট জেলা শহরে থাকতো। তাদের সংসারে সৌধ্য নামে সাত বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে স্মৃতি খাতুন ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে যান। এ অবস্থায় গত ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সহিদ শাহ্ তার একমাত্র শ্যালিকা ইতিকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষে থানায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ ইতিকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আসামি দুলাভাই সহিদ শাহকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় ৬ মাস পর সহিদ শাহ জামিন পেয়ে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর তিনি পুনরায় ইতিকে অপহরণ করে গা-ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় ইতির বাবা স্কুলশিক্ষক সিরাজুল ইসলাম আবারো কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। অপহৃতকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। গত ১৮ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে রংপুর মেডিক্যালে একটি মেয়ের মরদেহ ফেলে সহিদ শাহ নামে একজন লোক পালিয়ে গেছে। মেয়েটির বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। বুধবার ফেসবুকে ছবি দেখে অপহৃতা ইতির বাবা নিজের মেয়েকে চিনতে পারে ও রংপুর মেডিক্যালে ছুটে যায়। কিন্তু তিনি সেখানে গিয়ে মেয়ের মরদেহ দেখতে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। বিষয়টি কিশোরগঞ্জ থানায় অবগত করেন।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইতির মরদেহ দাফনের সময় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারীর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মরদেহ ফেলে সকলে পালিয়ে গেছে।  

তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে পূর্বের অপহরণ মামলার সূত্র ধরে আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

- Advertisement -spot_img

আরও খবর

আপনার মন্তব্য:

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

- Advertisement -spot_img

সদ্যপ্রাপ্ত

জাতীয়