নীলফামারীর জলঢাকায় ভোট না দেওয়ার অপরাধে গুচ্ছগ্রাম থেকে অনুদানের টিউবওয়েল তুলে নিয়ে গেছে নৌকা প্রতীকের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল। তিনি রোববার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োজিত চৌকিদারদের পাঠিয়ে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ২নং ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজার সংলগ্ন গুচ্ছগ্রামের দবির উদ্দিনের বাড়িতে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সদ্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত মুকুলের সুপারিশে প্রায় ৮মাস পূর্বে ওই অনুদানের টিউবওয়েলটি উপজেলা থেকে পেয়েছিলেন গুচ্ছগ্রামের মৃত আইন উদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন।গত ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার নৌকায় ভোট না দিয়ে প্রতিপক্ষ লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রোকনুজ্জামান খোকন এর পক্ষে নির্বাচন করার অপরাধে গ্রাম পুলিশদের দিয়ে এই অমানবিক কাজটি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন শেষ হতে না হতেই শপথ গ্রহণের আগে কিভাবে তিনি গ্রাম পুলিশদের ব্যবহার করে এমন অমানবিক কাজটি করতে পারেন?
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত দবির উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘকাল ধরে মুকুল চেয়ারম্যান সমর্থক ছিলাম, তার গত নির্বাচন গুলোতে আমার ভুমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। তাই আমার বাড়িতে টিউবওয়েল না থাকায় তার সুপারিশে পানি খাওয়ার জন্য এই টিউবওয়েলটি পেয়েছিলাম উপজেলা থেকে। গেল নির্বাচনের আগে তার আচরণ গুলো ভাল ছিলনা সেজন্য আমি তার প্রতিপক্ষ রোকনুজ্জামান খোকনের লাঙ্গল মার্কায় ভোট করি। সেই অপরাধে আজ উনি আমার বাড়িতে ৩জন গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে টিউবওয়েলটি তুলে নিয়ে যায়।তিনি আরও বলেন, টিউবওয়েলটি নিয়ে যাওয়ায় পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে এখন বিপাকে পরতে হলো। এলাকার আতিয়ার রহমান জানায়, আমরা গরীব মানুষ, তাই বলে কি আমাদের নিয়ে যা খুশি তাই করবে ওরা? একজন চেয়ারম্যান মানুষের এমন স্বভাব মেনে নেওয়ার মতো না। গ্রামপুলিশ রশিদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে টিউবওয়েলটি নিয়ে আসতে বলেছে তাই আমরা দবিরের বাড়ি থেকে টিউবওয়েল নিয়ে এসেছি।সাইফুল ইসলাম মুকুলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে এ টিউবওয়েল দিয়েছি, আমার ইচ্ছায় আবার নিয়ে এসেছি।
এ বিষয়ে ইউএনও মাহবুব হাসান বলেছেন, শুনেছি। তবে, অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।