ডিমলা : হঠাৎ করে উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে সৃষ্টি হয় বন্যার। ফলে তিস্তার প্রবেশদ্বার বাংলাদেশের নীলফামারীর কালিগঞ্জ থেকে লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর এ সময় দশটি স্থানে ৯৩০ মিটার বাঁধ ধসে গেছে। আর এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। খুব দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো মেরামত করা হবে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা পরিচালক ফজলুর রশিদ। গতকাল রোববার ক্ষতিগ্রস্ত সেসব স্থান পরিদর্শনে আসেন তিনি।
পরিদর্শনকালে ফজলুর রশিদ বলেন, ডেলটা প্ল্যানের আওতায় ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের ছোট ছোট নদীগুলো খনন করা হয়েছে। এতে নদীগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ড্রেনেজ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গত বছর পরপর পাঁচটি বন্যা আঘাত হানলেও এ অঞ্চলে বন্যার পানির উচ্চতা বাড়েনি। ডেলটা প্ল্যানের আওতায় ছোট ছোট খাল বিল ও নদীগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারলে এ অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ হ্রাস পাবে।
ফজলুর রশিদ আরও বলেন, চলতি বন্যায় তিস্তা ফ্লাড বাইপাসসহ কমান্ড এলাকার দশটি স্থানে ৯৩০ মিটার বাঁধ ধসে গেছে। এতে বাঁধের ক্ষতির পরিমাণ ১৫ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত এসব বাঁধ পুরোনো নকশা অনুযায়ী শিগগিরই মেরামত করা হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক (পশ্চিম রিজিয়ন) এ, কে, এম সামছুল আলম ও বোর্ডটির প্রধান প্রকৌশলী (নকশা ও গবেষক) মো. এনায়েত উল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, রংপুর পৌর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুববর রহমান, ডালিয়া পৌর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফাউদ দৌলা।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর হঠাৎ উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে সৃষ্ট বন্যায় তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড ফিউজ (ফ্লাড বাইপাস) এর ৩০০ মিটার, গ্রোয়েন বাঁধের ১ মিটার, বেশ কিছু স্পার্ক ও প্রধান বাঁধের বিভিন্ন স্থান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বসতভিটা, ফসলি জমি ও রাস্তা ঘাট, ব্রিজ পানির তোড়ে ভেসে গেছে।