25.3 C
Saidpur

সত্য প্রকাশে সাহসী

বুধবার, মে ৭, ২০২৫

বাল্য বিয়ের ১২ ঘন্টা পর বিচ্ছেদ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : বিয়ের আসরেই বর ও কণে পক্ষের জেদের কারণে বিয়ের ১২ ঘন্টা পর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। শুক্রবার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয় ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার রঘুনাথপুর গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে তৈরী পোষাক কারখানার কর্মী মোহম্মদ মিলন (২৫) বর যাত্রী সহ বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে করতে আসে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুসা হাজ্বীপাড়া গ্রামে আইউব আলীর
মেয়েকে। উভয় পরিবারের অভিভাবকদের মধ্যে দেখা শোনা কথা বার্তার মাধ্যমে ওই বিয়ের আয়োজন করা হয়। কনে পক্ষের অভিভাবকরা তাদের নবম শ্রেনীর ছাত্রী মেয়েটির বয়স লুকিয়ে তাদের মেয়ের বাল্য বিয়ের আয়োজন করে। বর যাত্রী আসার পর বর মোহম্মদ মিলন গোপনে বিষয়টি জেনে ফেলে তার বাবাকে ঘটনা বিয়েতে বাধ সাধেন। এতে মেয়ে পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার নিবাহ রেজিষ্ট্রার কাজিকে দিয়ে বিয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি মর্মে এলাকার কাজি নুরুল হুদা আসেননি। ফলে কনে পক্ষের লোকজন স্থানীয় মওলানা ডেকে রাত সাড়ে ১১টার ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা মোহরানা ধার্য্য করে রেজিষ্ট্রিশন ছাড়াই বিয়ে দেয় ।
এদিকে বর মোহম্মদ মিলন জানায়, মেয়ের বয়স ১৫ ও কিশোরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী। তাই আমি ঘটনাটি মোবাইলে পুলিশকে জানানোর চেষ্টা করলে কনে পক্ষ মোবাইল কেড়ে নিয়ে আমাকে (বর) সহ বরযাত্রীদের ঘরে আটকে তালা দিয়ে রাখে সারা রাত। এ সময় অনেক বরযাত্রী
পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে আমার বাড়ির পরিবারের লোকজন ঘটনা জানতে পেরে জাতীয় পুলিশ সেবা কেন্দ্রের ৯৯৯ নম্বরে কল করলে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ কনে পক্ষের বাড়ি এসে আমাদের ঘরের তালা খুলে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে আমরা এ ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করিনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মেয়ে পক্ষ তাদের ভুল বুঝতে পেরে বিয়ে বিচ্ছেদ করিয়ে নেন।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিস ঘটনাটি সমাধান করবেন বলে জানিয়ে বর পক্ষের কোন আপক্তি না থাকায় তারা থানা থেকে বাড়ি চলে যায়। এ ঘটনায় আমরা একটি জিডি করেছি।
সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিস জানান, মেয়ে পক্ষের লোকজনের কিছু ভুল ছিল। ঘটনাটি সমাধানের জন্য বর ও কনে’র উভয়পক্ষের লোকজন আমার কাছে আসেন। তারা সকলে ঘটনা সমাধান চাইলে মেয়ে পক্ষের প্রস্তাবনায় উভয় পক্ষের সম্মতিতে খোলা তালাকের মাধ্যমে
বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটনায় তারা। এ ভাবে যেন আর কোন মেয়ের অভিভাবক জোড়পূর্বক বাল্য বিয়ে দিয়ে মেয়েকে কলঙ্কিত না করে এমন আহবান জানান এই জনপ্রতিনিধি।

- Advertisement -spot_img

আরও খবর

আপনার মন্তব্য:

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

- Advertisement -spot_img

সদ্যপ্রাপ্ত

জাতীয়