চিকলী নিউজ : নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরবাজারের ২৫.৭৫ সম্পত্তিতে রেলওয়ের অযাতিত হস্তক্ষেপে ও মাইকিং করায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান বেবীসহ পৌর পরিষদ। গত ২ অক্টোবর বেলা ১১টায় পৌর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রতিবাদ লিপিতে মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ২৫.৭৫ একর সম্পত্তি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সাথে পৌর পরিষদের দ্বন্দ চলে আসছে। পৌর পরিষদের দখলীয় ২৫.৭৫ একর সম্পত্তি অবৈধ দখলদার দাবী করে রেল কর্তৃপক্ষ পৌর পরিষদের বিরুদ্ধে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। যাহা পরবর্তীতে পৌরসভার পক্ষেই রায় দেন বিজ্ঞ আদালত। এরপর পৌরসভার বিরুদ্ধে প্রায় ১৭ কোটি টাকা আদায়ের জন্য ০২/০৫ একটি মানিসুট মোকদ্দমা করেন ফিল্ড ওই মামলা ও ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর বাদির বিরুদ্ধে এবং পৌরসভার পক্ষে রায় ও ডিগ্রি হয়। এভাবে পৌরসভার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে রেলকর্তৃপক্ষ।
মেয়র বলেন, ১৯৭৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ১৪.৩২ একর রেলওয়ে বাজারের জমির বাবদ একটি লাইসেন্স এগ্রিমেন্ট হয়। যা ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে (রিপিল) অর্ডিনেন্স দ্বারা বাতিল হয়। কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত অধ্যাদেশে ২ এর সি ধারায় বলা হয় রেলের সহিত সকল এগ্রিমেন্ট বা চুক্তি বাংলাদেশ সরকারের এগ্রিমেন্ট বা চুক্তি হিসেবে গন্য হবে। এ ছাড়া পৌর এলাকায় বা কর্পোরেশন এলাকায় রেলওয়ের যেসব হাট বাজার রয়েছে সেগুলি পৌরসভা বা কর্পোরেশন বরাবরে হস্তাস্তর করার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে মাননীয় জেলা প্রশাসক ১৯৮৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ২৫.৭৫ একর সম্পত্তি পৌরসভার বরাবরে হস্তান্তর করেন। একই সাথে পৌরসভাকে লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্স নবায়ন, রেন্ট ও টোল আদায়সহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পন করেন। কিন্তু রেলকর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশ ও দায়িত্বভার অর্পনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময় পৌর এলাকার ব্যবসায়ীকে ব্যবসা কেন্দ্রের কাগজপত্র দেখানো সহ নিজ স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে মাইকিং করে চলেছে। মেয়র আরো বলেন ১৯৮৩ সালের বাংলাদেশ রেলওয়ের (রিপি), অর্ডিনেন্স ২ এর সি ধারা মতে রেলওয়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশ সরকার বরাবরে ন্যন্ত করা হয়। যেখানে সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক পৌরসভাকে ২৫.৭৫ একর সম্পত্তি অর্পন করেছেন সেখানে পার্বতীপুর রেলওয়েরর কানুঙ্গ নিঃস্বার্থ হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে অপরাধ করেছেন বলে তিনি তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মেয়র আরও বলেন, সৈয়দপুরের উন্নয়নে রেলকর্তৃপক্ষ বার বার বাঁধার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি দাবী করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ শাহিন হোসেন, প্যানেল-২ আবুল কাশেম সরকার দুলু, প্যানেল-৩ সাবিহা সুলতানা, কাউন্সিলর- শাহিন আক্তার শাহিন, এরশাদ হোসেন পাপ্পু ও কাউন্সিলর বেলাল হোসেন বেলাল প্রমুখ।
সৈয়দপুর পৌরবাজারে রেল কর্তৃপক্ষের অযাচিত হস্তক্ষেপে, পৌর মেয়রের প্রতিবাদ সভা ও ক্ষোভ
