ডিমলা প্রতিনিধি : শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্যে দিনভর মুখর থাকত স্কুলের মাঠটি। সেই মাঠে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে স্থানীয় প্রভাবশালী আজগার আলী ও তাইজুদ্দিন দখলে নিয়েছেন। এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী-কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ করে এমন কাজ করায় অভিযুক্ত দুজনের বিচার দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
একটি সূত্র জানায়, নৈশপ্রহরীর নিয়োগ না দেওয়ায় নীলফামারী ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে হাল চাষ করেছেন নিয়োগে বঞ্চিতরা। স্কুলে জমি দাতার ভাই আজগর আলীর ছেলে আনিসুর রহমানকে সরকারি বিধি অনুসারে ২০১৭ সালে অত্র স্কুলে নৈশপ্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ২০১৮ সালে আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম স্ত্রী নীলফামারী শিশু ও নারী নির্যাতন আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাজনিত জটিলতায় সরকারি বিধি অনুসারে আনিসুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ। এ কারণেই আনিসুর রহমানের পুরো পরিবার শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠানটি ওপর ক্ষিপ্ত হন। গত সোমবার সকালে ট্রাক্টর দিয়ে স্কুলের খেলার মাঠে ফসল ফলানোর জন্য হাল চাষ করেন তাঁরা।
তবে আনিসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘স্কুলের যে জমিটুকু চাষ করা হয়েছে তা আমার পৈতৃক সম্পত্তি। আমার বাবা কিংবা আমরা যারা ওয়ারিশ রয়েছি তা স্কুলকে দান করি নাই। বরং স্কুল কর্তৃপক্ষ জোর পূর্বক দখল করে রয়েছে।’
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও অভিভাবক সদস্য ওসমান গনি, শফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৪৫ সালে স্থাপিত স্কুলটি পাকা ভবন নির্মাণ হয় ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে। বর্তমানে ১০৭ জন ছাত্র-ছাত্রী অত্র প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। স্কুলের জমির পরিমাণ ৫০ শতক। স্থানীয় মোহাম্মদ আলী, আবুল হোসেন ও আহম্মাদ আলী এ জমি দান করেন। স্কুলের জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক নবাব আলী জানান, যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি সরকারি এটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাস জানান, জমিটি প্রতিষ্ঠানের। যারা এই কাজটি করেছেন তাঁরা ঠিক করেননি। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।