35.4 C
Saidpur

সত্য প্রকাশে সাহসী

বুধবার, মে ৭, ২০২৫

স্কুল-কলেজে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ছে

চিকলী ডেস্ক : প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত কারিকুলামে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরিবর্তিত কারিকুলাম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। তার সঙ্গে স্কুল-কলেজের সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দ’দিন করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় ছুটির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় চাইলে এটি যে কোনো সময় বাস্তবায়ন করতে পারে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান রবিবার  বলেন, নতুন কারিকুলামের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে নিজেদের মতো করে কিছু সময় কাটাতে পারে সে জন্য এটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু শিক্ষক আর ক্লাসের পেছনে দৌড়ে তাদের দিন পার হয়। এতে করে পড়ার চাপ তাদের ওপর বেশি পড়ে। এ কারনে তাদের সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দু’দিন করা হয়েছে। বন্ধের দিনগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারবে।
ড. মশিউজ্জামান আরও বলেন, সপ্তাহে ২ দিন ছুটি হলেও জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, কার্যদিবস ধরা হবে। এ দিনগুলোতে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। তারা দিনটি নিজেদের মতো করে কাটাবে। এ দিনগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। প্রতিযোগিতায় পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে। সেই নম্বর বার্ষিক ও অন্যান্য পরীক্ষার সঙ্গে যোগ হবে।
এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দুই দিন ছুটি থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে এক দিন ছুটি থাকায় শিক্ষকদের মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ কাজ করছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ছুটি বাড়লেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি হবে না। তাদের লার্নিং আওয়ার কমবে না। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই এ প্রস্তাব করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ কমবে বলেও জানানো হয়।
এনসিটিবি জানায়, বিদ্যমান সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার ছুটি হলে ক্লাস হবে ১৮৫ দিন।
নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় জানানো হয়, সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন ধরে প্রাক-প্রাথমিকে মোট শিখন ঘণ্টা শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সময় নির্ধারণ করা হবে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিখন হবে ৬৮৪ ঘণ্টা। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির হবে ৮৫৫ ঘণ্টা। এ ছাড়া মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির মোট শিখন ১ হাজার ৫০ ঘণ্টা, নবম ও দশম শ্রেণির ১ হাজার ১১৭ ঘণ্টা। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ১ হাজার ১৬৭ ঘণ্টা হবে।
জানা গেছে, সপ্তাহে দু’দিন ছুটির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগেও চালু করলে কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। দুই মন্ত্রণালয় চাইলে তা যে কোনো সময় কার্যকর করতে পারবে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন শিক্ষাক্রমের একটি রূপরেখা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ওই রূপরেখার খসড়ায় অনুমোদন দেন। ওই দিন দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২২ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং করা হবে। ২০২৩ সাল থেকে পরিমার্জিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিকুলাম বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে।

- Advertisement -spot_img

আরও খবর

আপনার মন্তব্য:

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

- Advertisement -spot_img

সদ্যপ্রাপ্ত

জাতীয়