চিকলী নিউজ : নীলফামারীর সৈয়দপুরে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপনে চলছে এলাকা ভিত্তিক ব্যাপক প্রস্তুতি। সেইসাথে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। প্রতিবারের মত এবারও সৈয়দপুর উপজেলায় প্রায় ৮৬টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে। এ সপ্তাহে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের সাথে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সঠিক হিসেবে পাওয়া যাবে বলে এমনটি জানিয়েছেন সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক রাজ কুমার পোদ্দার
এ উপজেলায় পূজা মণ্ডপ গুলোতে প্রতিমা গড়ার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পিরা। আবার কোথাও কোথাও চলছে প্যান্ডেল তৈরির প্রাথমিক কাজ।সরেজমিন, উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে চৌমুহনী বাজার, বোতলাগাড়ীর কালিতলা, কাশিরামের পালপাড়া, শহরের কয়ামিস্ত্রীপাড়া, হাতিখানা মাছুয়া পাড়া ও কেন্দ্রীয় পূজা মন্ডপ শহীদ তুলসিরাম সড়কে দেখাগেছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। শিল্পীরা প্রাথমিকভাবে বাঁশ,খড় ও মাটির কাজ শুরু করেছে। কোথাও কোথাও মাটির প্রলপদিয়ে প্রতিমার রূপ ফুটিয়ে তুলছেন তারা।প্রতিমা শিল্পীরা বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে নানান প্রকার প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। কোনটির খড় মাটির কাজ শেষ হয়েছে। কোনটিতে মাটির কাজ শুরু করা হয়েছে। আরো ৮ থেকে ১০ দিন পর থেকে অর্থাত পূজার আগের রাত পর্যন্ত রংয়ের কাজ চলবে বিভিন্ন মণ্ডপে। তবে পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক পর্যাপ্ত না হলেও আন্তরিকতার সহিত কাজ করেন তারা।সৈয়দপুর শহরের হাতীখানা মাছুয়াপাড়া দূর্গাপূজা মন্ডপ কমিটির সাবকে সভাপতি আশুদেব চন্দ্র রায় নিরাশু জানান, শারদীয় দূর্গা পূজার আয়োজন এখনও পুরোদমে শুরু হয়নি ও তবে দু এক দিনের মধ্যে শুরু হবে।প্রতিমা তৈরীতে কত খরচ হয় এ প্রসঙ্গে বলেন, এবারে খড়, বাঁশ ও মজুরীর দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের চেয়ে সাধারন প্রতিমা তৈরিতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বেশি ব্যয় হবে। এছাড়া আকর্ষণীয় সাজ সজ্জার ব্যয়েও বাড়ছে পাশাপাশি ঢুলির বাজেটও পূর্বেও চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক রাজ কুমার পোদ্দার জানান, সরকারের নির্দেশনা মোতাতেক উৎসব পালন করা হবে। তবে উৎসবের মধ্যে দিয়ে করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য পূজা কমিটির সদস্যদের সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।এছাড়া দর্শনার্থীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা মন্ডপে আসার বিষয়টির সংশ্লিষ্ট পূজা কমিটিকে দায়িত্ব নেয়ার আহবান জানান তিনি।