21.2 C
Saidpur

সত্য প্রকাশে সাহসী

রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

কর্মব্যস্ততায় দর্জি ব্যবসায়ীরা : সৈয়দপুরে স্কুল ড্রেস তৈরির ধুম

আব্দুল্লাহ আল মামুন (মানিক) : মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে স্কুল-কলেজ খোলার খবরে আনন্দের ঢেউ জেগেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
এ দিকে দীর্ঘ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে অনেক শিক্ষার্থীদের স্কুলের নির্ধারিত পোশাক ছোট হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন পোশাক তৈরিতে শিক্ষার্থীরা ছুটছে দর্জি পাড়ায়। ফলে দীর্ঘ দিন পর আবারও কর্মব্যস্ততা ফিরেছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার দর্জি ব্যাবসায়ীরা।
জানা গেছে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের প্যান্ট ও শার্টের মজুরি রাখা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। আর মেয়ে শিক্ষার্থীদের পোশাকের মজুরি রাখা হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।
গত ১০ দিন আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেওয়ায় সৈয়দপুরে নতুন পোশাক তৈরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবকেরা।
সৈয়দপুরের দর্জি ব্যবসায়ী মোঃ নূরুজ্জামান জানান, প্রতি বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের নতুন কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করলেও এবছর স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় তা আর হয়ে উঠেনি। এছাড়াও করোনার কারণে ঈদের আগে দোকান বন্ধ থাকায় বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। কাজ-কর্ম নেই এর মধ্যে দোকান ভাড়া, বিদুৎ বিল ও নিজ সংসার খরচ জোগাড় করতে না পারায় চরম বিপাকের মধ্য দিয়ে করোনায় দিন কাটছে আমাদের।
আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে স্কুল-কলেজের ড্রেস তৈরিতে চাপ অনেক বেড়ে গিয়েছে।
সৈয়দপুরের সুনামধন্য মতি টেইলার্সের মালিক মোঃ মতিউর হোসেন (মতি) হোসেন বলেন, মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের স্কুলের নির্ধারিত পোষাক তৈরির অর্ডারের চাপ বেড়েছে।
সৈয়দপুর পৌর শহরের পুরাতন বাবুপাড়ার মহল্লার সাংবাদিক মোঃ খোকন জানান, তাঁর ছেলেকে নিয়ে শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কে ঢাকা টেইলার্সে স্কুলের পোশাক তৈরির জন্য এসেছেন। তিনি বলেন, দেড় বছর পর বাচ্চার স্কুল খুলছে। ছেলের যে পোশাক ছিল তা অনেক ছোট হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে স্কুল ড্রেস তৈরি করতে টেইলরের কাছে আসলাম।
এছাড়া পৌর শহরের কয়ানিজপাড়ার বাসিন্দা সাংবাদিক আকাসাদ্দৌল্লা আকাশ তাঁর ছেলেকে নিয়ে শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কে মতি টেইলার্সে স্কুলের পোশাক তৈরির জন্য এসেছেন। তিনি বলেনও দেড় বছর পর বাচ্চার স্কুল খুলছে। ছেলের যে পোশাক ছিল তা অনেক ছোট হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে স্কুল ড্রেস তৈরি করতে টেইলারের কাছে এসেছি।

- Advertisement -spot_img

আরও খবর

আপনার মন্তব্য:

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

- Advertisement -spot_img

সদ্যপ্রাপ্ত

জাতীয়