ডিমলা প্রতিনিধি : ডিমলায় “নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতন থাকি এবং সকলে ঐক্যবদ্ধ হই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন,ঢাকা এর সহযোগীতায় পল্লীশ্রীর উদ্দ্যোগে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ডিমলা পরিষদ সভাকক্ষে ৮ ই সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টা থেকে দপুর ২.০০ টা পর্যন্ত ষান্মষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ তবিবুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, ডিমলা,নীলফামারী। তিনি বলেন, আমাদের দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি দেশ। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। প্রত্যেক মানুষই স্বপ্ন দেখে তার নিরাপদ আবাসন, নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন, নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থা। বর্তমানে টেকশই উন্নয়নের লক্ষ্যে পিছিয়ে থাকবেনা একটিও মানুষ, এগিয়ে যাবে সবাই। আমরা নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতার রুপ দেখতে চাই না। নারীরা ঘরে বাইরে, শ্রেণী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। যারা প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে তারা সবাই নারী, শিশু ও কিশোরী। নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতার ধরন ও প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য ঘটনাগুলোর কারন চিহ্নিত করে সকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধ করা সম্ভব।
পল্লীশ্রীর প্রধান সমন্বয়কারী পুরান চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, সরকারী -বেসরকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ পল্লীশ্রী একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন, স্থানীয় সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার, নারী নেতৃত্ব উন্নয়ন, জেন্ডার বৈষম্য হ্রাস, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সংগঠনটি কাজ করে আসছে। দাতা সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় “অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারী ও কন্যা শিশুর সুরক্ষা প্রকল্প নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার কাজটি চলমান। পল্লীশ্রীর জরিপে পাওয়া গিয়াছে ৭৬ টি পারিবারিক সংহিসতার ঘটনা ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়নে ৪১ টি, ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে ৩৫ টি।সহিংসতার ঘটনাগুলো মানষিক নির্যাতন, বাল্য বিবাহ, ডির্ভোসের কারনে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নির্যাতন, মেয়েদের মতামত ছাড়া বিয়ে দেয়া, উভয়ে বৈবাহিক জীবনে ভিন্নমাত্রায় সম্পর্ক স্থাপন, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা, নারীদের উপর পুরুষদের প্রভাব ইত্যাদি মুল কারন। দলীয় নারী নেতা ও কমিউনিটির গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সহযোগীতায় ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়নে ২৮টি, ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে ২১টি মোট ৪৯টি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ করা হয়েছে। পল্লীশ্রীর কর্মী, দলের নারী, পুরুষ, কিশোর ও কিশোরীরা রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে নারীর প্রতি সংহিংসতার ঘটনা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে প্রচারনা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান বাবু নিরেন্দ্র নাথ রায়, মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মোছাঃ আয়েশা সিদ্দিকা, ডিমলা থানা ওসি (তদন্ত) বিশ্বদেব, মোঃ রাজিউর রহমান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, মোঃ মোজাফ্ফর রহমান, উপসহকারী প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ও মোঃ ফজলুল হক (কাজী) সহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ।