চিকলী নিউজ : উত্তরের পর্যটন শিল্প খ্যাত ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজের নির্মাণ কাজে ব্যাবহৃত যানবাহনসহ যন্ত্রাংশ নির্মান কাজ শেষ হওয়ার পরেও চাহিদা না থাকার অজুহাতে অযতœ আর অবহেলায় বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে ব্যারেজের গোডাউনে পরে আছে কয়েকশ কোটি টাকার আধুনিক মূল্যবান যন্ত্রাংশ।জানা যায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ডালিয়া তিস্তা নদীর উপর ৫৬টি জলকপাট দিয়ে নির্মিত ব্যারেজটি দেশের বৃহৎত্তম সেচ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে।
এ-ই ব্যারেজের নির্মান কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে এবং শেষ হয় ১৯৯০ সালে। সেচ প্রকল্প ও ব্যারেজটি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করেন সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পানি উন্নয়ন বোর্ড। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডালিয়া তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ব্যারেজের কাজ শেষে দেওয়ানীর গোডাউনে খোলা আকাশের নিচে অযতœ আর অবহেলায় পড়ে আছে ট্রাক, বেকার, ওযাগন, ঢালাই মেশিন, সহ কয়েকশ কোটি টাকা দামের দামী আধুনিক জিনিস। আর এসব জিনিস দীর্ঘদিন ধরে পরে থাকায় ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে।তিস্তা ব্যারেজ সূত্র জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ আধুনিক এসব জিনিস মেরামতের উদ্দ্যোগ না নেওয়ায় ব্যবহার ও চলাচল যোগ্য এই সব যানবাহন, জিনিস ও যন্ত্রাংশগুলো রোদ বৃষ্টি পুরে ভিজে নষ্ট হচ্ছে ও চুরি হয়ে যাচ্ছে এর যন্ত্রাংশ। অথচ এক সময়ের এসব সচল আধুনিক জিনিস গুলো বর্তমানে অচল হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ যেকোন সময় এ-ই সকল জিনিস ও আধুনিক যন্ত্রাংশ অযোগ্য ঘোষনা করতে পারে। এদিকে ডালিয়ার দেওয়ানির গোডাউনে পরে থাকা জিনিসগুলো জং ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে পরেছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিস্তা ব্যারেজের দেওয়ানী গোডাউন কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রয়োজনে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার জিনিস ও যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয় অথচ অর্থের অভাবে গোডাউনে পরে থাকা জিনিস ও যন্ত্রাংশসমূহ মেরামত করা হচ্ছে না। অথচ এসকল গাড়ী ট্রাক সচল থাকলে দেশের উন্নয়নের কাজে ব্যাবহার করা যেত।
এলাকাবাসী জানায় শত কোটি টাকা মূল্যের মূল্যবান জিনিসের জন্য দক্ষ জনরব না থাকায় তা রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়া সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নিরব। দেখার কেউ নেই।