26.3 C
Saidpur

সত্য প্রকাশে সাহসী

রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

সৈয়দপুরে ভূতড়ে বিদ্যুৎ বিলে হতাশ গ্রাহক

চিকলী নিউজ : নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলে হতাশ হয়ে পরেছেন প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক। এমনকি বিশ সংশোধন করতে গেলেও পরতে হচ্ছে ভোগান্তিতে। গতকাল শহরের একাধিক গ্রাহকের সঙ্গে আলাপকালে তারা তাদের হতাশার কথা ব্যক্ত করেন।

জানাগেছে নর্দান ইলেকটিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) এর আওতায় রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহক। প্রতি মাসে এসব গ্রাহকদের ব্যবহৃত বিদ্যুতের রিডিং লিখে বাড়ি বাড়ি পৌছে দেন বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ। বিদ্যুৎ ব্যবহারের শুরুর পর থেকে বিগত বছর খানিক থেকে বিল বাড়ানো হচ্ছে। কেউ কেউ কয়েক বছর থেকে ভুতরে বিলের বোঝা টেনে বেড়াচ্ছেন। ভুতরে এমন বিল সংশোধন করতে গেলে নেসকো এর কর্মকর্তা, কর্মচারিদের দূর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা। টেবিলের পর টেবিল ঘুরেও মিলছেনা ভুতরে বিলের সমাধান।
ছাত্তার ও ফুলটু নামের দুজন গ্রাহক জানান, বিদ্যুৎ ব্যবহারের পর থেকেই প্রতিমাসে সহনিয় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ কয়েক মাস থেকে এবং প্রতিটি ঈদের আগের মাসে ২-৩ গুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল আসে। সংশোধনের জন্য বিদ্যুৎ অফিসে গেলেও কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দূর্ব্যবহারে ২য় বার সংশোধন করাতে মন ও চায় না। তাছারা বিল সংশোধনের জন্য চাপ দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বাধ্য হয়েই ভুতরে বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে অনেক কেই।

কবির ও মনছুর নামের অপর দুই গ্রাহক জানান, করোনাকালের শুরুর দিকে প্রতি মাসে ৬০০-৭০০ টাকা বিল এসেছিল। ২টি ফ্যান, ১টি টেলিভিশন ও ৪টি লাইট জ্বালিয়ে এখন বিল আসছে ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত।
শহরের কয়েকজন গ্রাহক জানান, সৈয়দপুরে ২২টি বিহারি (অবাঙ্গালি) ক্যাম্প রয়েছে। সরকার এসব ক্যাম্প বাসিদের ফ্রি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে দিলেও তারা ক্যাম্পের বাহিরেও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে অর্থ আদায় করে চলেছেন। উর্দুভাষিদের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল বাহিরের গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এছাড়া সৈয়দপুর শহরে অটো বিক্সা ও চার্জার রিক্সার গ্যারেজ রয়েছে প্রায় ২২টির মতো। নেসকোর কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা ঐসব গ্যারেজে মাসিক চুক্তির বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল গছিয়ে দেয়া হচ্ছে সাধারন গ্রাহকের ঘাড়ে। এ নিয়ে নেসকো কতৃপক্ষ ও পৌর কতৃপক্ষকে অভিযোগ দিয়েও সুফল না পাওয়ায় একে বারেই অসহায় হয়ে পড়েছেন সৈয়দপুরের সকল বিদ্যুৎ গ্রাহক।

এ বিষয়ে নেসকো এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া জানান, মিটার রিডাররা অনেক সময় মিটার না দেখেও বিল করে থাকেন। তবে কারো কোন অভিযোগ থাকলে সমাধান করা হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

- Advertisement -spot_img

আরও খবর

আপনার মন্তব্য:

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

- Advertisement -spot_img

সদ্যপ্রাপ্ত

জাতীয়