হরিপুর প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের ছাত্র ঠাকুরগাঁওয়ের শাহিন আলম লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে বাড়ির পাশের জমিতে তরমুজ চাষ করে এলাকায় সারা ফেলেছেন। স্বল্প সময়ে ব্ল্যাক বেবি ও গোল্ডেন ক্রাইন বিদেশী দুটি জাতের তরমুজের ফলনও হয়েছে ভাল। এখন অপেক্ষা বাজারজাতের। তার এই তরমুজ ক্ষেত দেখে তরমুজ আবাদের আগ্রহী হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের অনেক কৃষক। করোনায় পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের পড়ুয়া ছাত্র ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কামারপুকুর গ্রামের শাহিন আলম এক শিক্ষকের পরামর্শে উদ্যোগ নেয় বিদেশী জাতের তরমুজ আবাদের
পাশাপাশি ইউটিউব ও ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহের পর চাচাতো ভাইকে সাথে নিয়ে বাড়ির পাশেই পরিক্ষামুলকভাবে ২৫ শতক জমিতে চাষাবাদ শুরু করে বিদেশী জাতের ব্ল্যাক বেবি ও গোল্ডেন ক্রাইন তরমুজের চাষাবাদ। নিয়মিত পরিচর্চা ও পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করায় মাত্র ৪৮ দিনে এই দুই জাতের তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়েছে। মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করা মাচায় গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাক বেবি রং বেরংয়ের তরমুজ। তার তরমুজ আবাদ দেখে স্থানীয়রা যেমন উদ্ভুদ্ধ হচ্ছেন তেমনি কর্মসংস্থানের জায়গা হয়েছে অনেকের। পরিপক্ক হওয়ায় তরমুজ এখন শুধু বাজারজাতের অপেক্ষায়।এলাকার অন্য কৃষকেরা জানান, শাহিন এর তরমুজ ক্ষেত দেখে আমরাও এর পর থেকে এই তরমুজ আবাদ করবো ভাবতেছি। অসময়ে এই তরমুজ চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। বাজারে চাহিদাও ভালো রয়েছে এই তরমুজ এর। তরমুজটি খেতেও অনেক বেশি মিষ্টি ও সুস্বাদু। তরমুজ চাষি শিক্ষার্থী শাহিন আলম বলেন, বেবি ও গোল্ডেন ক্রাইন তরমুজ আবাদে খরচ হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। আর ফল বিক্রি করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। সকলকেই এই তরমুজ আবাদের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
হরিপুর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউল রহমান বলেন, আমরা যতটুক পরামর্শ ও সহযোগিতা করার করেছি তারা বেশ লাভবান হবে। তাদের এই তরমুজ চাষে আরো এই এলাকার কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে।