চিকলী নিউজ : করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঈদের ৩য় দিন থেকে পরবর্তী ১৪ দিন কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। এটি কার্যকর করতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রশাসন শহরের রাস্তায় রাস্তায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে ।
লকডাউনের ৫ম দিন (২৭ জুলাই) মঙ্গলবার সকাল থেকেই পাল্টে গেছে সৈয়দপুরের চিত্র। বাজারে নেই অন্যান্য দিনের মতো মানুষজনের ভীর, নেই যানবাহনের ছুটে চলা, বন্ধ রয়েছে দোকানপাট।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টাপর্যন্ত সৈয়দপুর শহরের রংপুররোড,পাঁচমাথা মোড়, শের-ই-বাংলা রোড, শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ তুলসীরামসড়ক (দিনাজপুরমোড়) এলাকার নেই কোন যানবাহন ও মানুষের ভীর। সরেজমিনে সৈয়দপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা।শহরের পাঁচ মাথায় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং সৈয়দপুর থানারআইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরা যান ও জনচলাচল নিযন্ত্রণে কাজ করছেন। জরুরি প্রয়োজনে যারা সড়কে বেরিয়েছেন তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেও ভ্রাম্যমান আদালতে।
শহরে যেসব গাড়ি চলাচল করছে সেগুলোর অধিকাংশই আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ও খাদ্যপণ্য বাহীট্রাক,সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারীযান বাহন ও সংবাদ কর্মীদের মোটরসাইকেল। তবে পৌর এলাকায় অলিগলি ও সড়কে কিছু রিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়।
রংপুর দিনাজপুর মহা সড়কে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক,অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাড়ি চলতে দেখা গেছে। তবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে।যার ফলে তারা প্রায় মহাসড়কে চলাচল প্রত্যেকটি গাড়ি চেক করার চেষ্টাও করছেন।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম জানান, শহরে পুলিশ ছাড়াও আর্মিটহল অব্যাহত রয়েছে। তিনি প্রত্যাশা করেন, লকডাউনে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সৈয়দপুরবাসী প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।